UP Education Officer Attacked : যোগী রাজ্যের এই ভিডিয়ো (Viral Video) হতবাক করবে আপনাকেও। দুই শিক্ষকের বাদানুবাদের মধ্যেই ঘটল অঘটন। যার বিরুদ্ধে শিক্ষক হেনস্থার অভিযোগ, সেই প্রধান শিক্ষকই হারালেন মেজাজ। ফলস্বরূপ শিক্ষা আধিকারিককে বেল্ট খুলে পেটালেন তিনি। পরে শ্রীঘরে স্থান হয়েছে প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু কেন হল এই ঘটনা ? 

Continues below advertisement

সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ঘটনাএই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। যেখানে জেলার সহকারী শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগে তদন্তাধীন এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শিক্ষা আধিকারিক। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ওই আধিকারিককে বেল্ট দিয়ে মারতে শুরু করেন প্রধান শিক্ষক। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ঘটনা। বুধবার অভিযুক্ত ব্রিজেন্দ্র ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন ঘটে এই ঘটনা। পরে শিক্ষা আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

কার বিরুদ্ধে এই অভিযোগঅভিযোগ, মাহমুদাবাদ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রিজেন্দ্র ভার্মা একই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষককে হয়রানি করছিলেন। তদন্তে একটি চিঠিও জড়িত ছিল যা রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল। যে বিষয়ে Basic Shiksha Adhikari (BSA) অখিলেশ প্রতাপ সিং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধান শিক্ষককে তার অফিসে ডেকেছিলেন। সিং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয়কেই মুখোমুখি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আলোচনা চলছিল অফিসে তাঁর রুমেই।  

Continues below advertisement

কী দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজেসিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আধিকারিকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ান প্রধান শিক্ষক। ছুড়ে ফেলেন ফাইল। তারপর হঠাৎ করে বেল্ট খুলে ফেলেন কোমর থেকে। তিনি শিক্ষা আধিকারিককে মারধর করছেন। তাঁর বেল্ট খুলে বারবার অফিসারকে মারছেন। CCTV-তে ধরা পড়ে এই ছবি। সঙ্গে সঙ্গে অফিসের কর্মীরা হস্তক্ষেপ করলে হামলা থমকায়। পরে ভার্মাকে অফিসে আটকে রাখেন কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে থানায় খবর দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে আক্রান্ত অখিলেশ প্রতাপ সিং বলেছেন, " তদন্তের সময় যখন উপস্থিত সকলেই প্রধান শিক্ষককে দোষী বলে ইঙ্গিত করেন, তখন তিনি হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। সেই সময় তার বেল্ট বের করে আমার উপর আক্রমণ করেন।" ঘটনার পর ভার্মাকে গ্রেফতার করা হয় ও শিক্ষা আধিকারিক সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করেন।