বিশাখাপত্তনম: মদের দোকানগুলোর বাইরে তিল ধারণের জায়গা নেই। ঠেলাঠেলি, হই হট্টগোল সব চলছে ইচ্ছেমত, লকডাউনের নিয়মকানুন শিকেয়। এই পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ডাকল অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনম প্রশাসন। সোজা যুক্তি, বিগড়ে যাওয়া ছাত্র শাসন সম্ভব হলে মাতাল নিয়ন্ত্রণ নয় কেন?

আবগারি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভাস্কর রাও বলেছেন, জেলায় ৩১১টি মদের দোকান রয়েছে, ২৭২টি খোলা। ভিড় সামলাতে তাই সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ডাকা হয়েছে। যাঁরা দোকানের বাইরে লাইন দিয়েছেন, তাঁদের হাতে টোকেন তুলে দিচ্ছেন তাঁরা। নম্বর এলে ক্রেতারা যাচ্ছেন কাউন্টারের দিকে। বিশাখাপত্তনমের আনাকাপাল্লি শহরের শিক্ষক লক্ষ্মী নারায়ণ জানিয়েছেন, তিনি বুখাইয়াপেট মণ্ডলের শিক্ষক। সঙ্গে রয়েছেন আনাকাপাল্লি মণ্ডলের শিক্ষক মহেশ। একটি মদের দোকানে ডিউটি দিচ্ছেন তাঁরা। প্রত্যেক মদের দোকানে এভাবেই ২ জন করে শিক্ষক মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষকের পেশা হল পরিষেবা দেওয়া। যে কোনও জায়গায় পরিষেবা দিতে তাঁরা তৈরি। কিন্তু এভাবে মদের দোকানেকাজ করতে বাধ্য হওয়ায় অপরাধবোধ হচ্ছে। কোনও শিক্ষকই এই কাজ করতে চাইছেন না। সরকারের প্রয়োজনে যে কোনও কাজে তাঁরা প্রস্তুত কিন্তু অনুরোধ, মদের দোকানে যেন কাজ করতে না হয়।

এর মধ্যে স্থানীয় একটি মদের দোকানের বাইরে মহিলারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সবজির বাজার খোলা মাত্র ৩ ঘণ্টা অথচ মদের দোকান ৭ ঘণ্টা করে খোলা থাকছে।

মদের দাম সব মিলিয়ে ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার। সোমবার ২৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর পরদিনই তারা ফের দাম বাড়িয়ে দেয় আরও ৫০ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির অফিস জানিয়েছে, মদ কিনতে যেন সাধারণ মানুষ আগ্রহী না হন, তাই এই পদক্ষেপ।