নয়াদিল্লি: বিমানে ফের বোমাতঙ্ক। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে মুখ ঘুরল বিমানের। দিল্লি থেকে লন্ডনগামী বিমানের জরুরি অবতরণ ঘটল ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে। ভিস্তারা সংস্থার বিমানকে মুখ ঘুরিয়ে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নামানো হয়। বিমানে নাকা-তল্লাশি চলছ এই মুহূর্তে। নিরাপত্তা সংস্থার তরফে ছাড়পত্র পেলে আবারও নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে বিমানটি। (Vistara Flight Bomb Threat)


শনিবার সাতসকালে এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভিস্তারা বিমান সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপদে ফ্র্যাঙ্কফুর্টে অবতরণ করেছে বিমানটি। বাধ্যতামূলক ভাবে সেখানে নাকা-তল্লাশি চলছে। বিবৃতিতে বলা হয়, 'ভিস্তারার UK17 বিমানটি দিল্লি থেকে লন্ডন যাচ্ছিল। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হুমকি আসে। প্রোটোকল মেনে তাই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। মুখ ঘুরিয়ে ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নামার সিদ্ধান্ত নেন পাইলটরা'। (Hoax Bomb Threats)


শুক্রবার Akasa Air-এর একটি বিমানেও বোমাতঙ্ক দেখা দেয়। QP 1366 বিমানটির বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই আসার কথা ছিল। উড়ানের ঠিক আগে বিমানে বোমা থাকতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দেয়। এর পর এক এক করে যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। নিয়মমাফিক নাকাতল্লাশি চলে বিমানটিতে। দুবাই থেকে জয়পুর আসার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ঘিরেও একই পরিস্থিতি দেখা দেয়। ১৮৯ যাত্রী বিমানে ছিলেন। সেই সময় ইমেল মারফত হুমকি আসে। 


গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির দ্বারা পরিচালিত প্রায় ৪০ বিমান ঘিরে বোমাতঙ্ক দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে ধাপ্পা বলে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১৬টি বিমানে বোমা রয়েছে বলে খবর আসে, যা পরে ভুয়ো প্রমাণিত হয়। এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায় যে বা যাঁদের নাম উঠে আসবে, তাঁরা কখনও বিমানে উঠতে না পারেন যাতে, তেমন বিধিনিষেধ চালুর ভাবনাও চলছে। কড়া পদক্ষেপও করা হতে পারে।


এ নিয়ে তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা, সেই অনুযায়ী, সোশ্য়াল মিডিয়ায় বোমা, রক্তপাত, বিস্ফোরক, মৃত্যুর মতো থ্রেড বানিয়ে আতঙ্ক তৈরির সংযোগ মিলেছে। ১৭ বছর বয়সি ছত্তীসগঢ়ের এক কিশোরের নামও উঠে আসে। মুম্বই পুলিশ তাকে আটকও করে। এর পাশাপাশি, যে সমস্ত কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস হাতে আসে, তার মধ্যে লন্ডন থেকেও হুমকি আসে বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এবং সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তদন্তকারীরা।