পুনেয় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ, সুস্থ আছেন স্বেচ্ছাসেবীরা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 29 Aug 2020 01:25 PM (IST)
শুধু ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়, টিকা প্রয়োগের পর শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে স্থানীয় কেইএম হাসপাতাল।
পুনে: পুনেয় পর পর দুদিন পাঁচজনের উপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফল মিলল। বুধবার দু'জনকে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার টিকা প্রয়োগ করা হয় আরও তিন জনের উপর। সকলকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সুস্থ আছেন। এক মাস পরে তাঁদের আরও একটি ডোজ দেওয়া হবে। পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল জানিয়েছে, ৩২ ও ৪৮ বছর বয়সী দুই স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রতিষেধক দেওয়া হয়। তার পরে তাঁদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাঁদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠিগুলো ঠিক রয়েছে বলেও হাসপাতাল জানিয়েছে। শুধু ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়, টিকা প্রয়োগের পর শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে স্থানীয় কেইএম হাসপাতাল। করোনা টিকা নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকের কথায়, "জ্বর বা ব্যথা কিছুই হয়নি। আমি বাড়ি ফিরে দৈনন্দিন কাজ শুরু করে দিয়েছি।" এর আগে ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু প্রতিষেধকের সময়েও এই ব্যক্তি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আরও তিন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভিশিল্ড প্রতিষেধক পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ। ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহ-অধিকর্তা চিকিৎসক জিতেন্দ্র অসওয়াল বলেছেন, "২ জনের কারওরই কোনও উপসর্গ যেমন জ্বর বা ব্যথা দেখা যায়নি। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। ১ মাস পর তাঁদের আবার একটি ডোজ দেওয়া হবে।" এই হাসপাতালকে ৩০০জনের উপর পরীক্ষা চালানোর জন্য বলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। হাসপাতালের অধিকর্তা সঞ্জয় লালওয়ানি বলেছেন, প্রতি সপ্তাহে ২৫ জনের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। সঞ্জয় লালওয়ানি জানিয়েছেন, কোভিডে কখনও আক্রান্ত হননি এমন ১৮-৯৯ বছর বয়সি যে কোন্ও ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন। তবে কো-মর্বিডিটি থাকা চলবে না। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ঠিক আগে ওই ব্যক্তির কোভিড টেস্ট করানো হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই তিনি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তবে ওই ব্যক্তিকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।