বেহালা: তিন দিন ধরে জলমগ্ন বেহালার শকুন্তলা পার্ক-সহ আশপাশের এলাকা। জল পেরিয়েই চলছে যাতায়াত। আর এতেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি! মাঝে বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, তিন দিন কেটে গেলেও এখনও জলমগ্ন বেহালার একাংশ। এক কথায় বলতে গেলে, বর্ষার শুরুতেই বেহাল বেহালা।


এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়ে তিতিবিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। ৩দিন পরেও জল, যত ভিতরে যাওয়া যাবে ততই জল, পানীয় জল ও বিদ্যুতের সমস্যা মেটেনি এখনও।


কখনও একটানা, কখনও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে কলকাতা-সহ রাজ্যে। তার জেরে অল্পবিস্তর জল জমছে শহরের কয়েক জায়গায়। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। অধিকাংশ বাড়ির একতলায় জল ঢুকেছে। জল থইথই দোকানগুলিতেও। সব মিলিয়ে এই জলযন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার বাসিন্দারা।


শুধু বেহালাই নয়, টানা বৃষ্টিতে এমনই বিক্ষিপ্ত ছবি রাজ্যজুড়ে। শহর থেকে শহরতলি একাধিক জায়গা এখনও জলমগ্ন। হাওড়ার অবস্থাটাও একই। পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিজেপির সমর্থক হওয়ায় তাঁদের এলাকায় নিকাশী ব্যবস্থা বেহাল। রাজনীতির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক শিবির। 


জলের তলায় পুরুলিয়ায় জলমগ্ন বিঘার পর বিঘা চাষ জমি। সবজি চাষের পাশাপাশি ধান ও ভুট্টা চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। দেখা দিচ্ছে ফাঙ্গাস ঘটিত রোগ। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলার কৃষি দফতরের।


তবে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ওপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ওপর ঘূর্ণাবর্ত। জোড়া প্রভাবে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস। শনিবার কলকাতায় সকাল থেকেই বৃষ্টি অব্যাহত। কলকাতায় দু’-এক পশলা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি।


অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে। নিম্নচাপের প্রভাবে বিহার ও ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাড়তে পারে একাধিক জলাধার ও নদীর জলস্তর। আজও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।