বিল দুটির রাজ্যসভার সিলমোহর পাওয়ার প্রয়োজনীয় এমপি সংখ্যা হাতে না থাকায় তাকে আড়াল করতে যাবতীয় নিয়মকানুন ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। এদিন বিলদুটিকে কেন্দ্র করে সভায় স্লোগান, বিক্ষোভ, বিলের নথিপত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করা, স্পিকারের মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা-কিছুই বাদ যায়নি। বিলগুলি শুধু বিরোধী শিবিরই নয়, দেশের, বিশেষত, উত্তর ভারতের কৃষকদের একাংশের তোপের মুখে পড়েছে। বিলের ফলে সরাসরি কৃষকরা বড় ক্রেতাদের কাছে তাদের কৃষিপণ্য আরও সহজে বেচতে পারবেন বলে সরকার দাবি করলেও কৃষকদের আশঙ্কা, তাদের আয় মার খাবে। ফসলের বিনিময়ে যে আয়ের গ্যারান্টি রয়েছে, তা চলে যাবে, বড় বড় কর্পোরেশনের সুবিধা হবে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লিখেছেন, সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি অনুমোদন পাওয়ায় আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের অভিনন্দন। কৃষিক্ষেত্রের আমূল রূপান্তর ও কোটি কোটি কৃষকের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করবে বিলগুলি। বিরোধীরা বিলগুলিকে ‘কৃষক-বিরোধী’ তকমা দিলেও কেন্দ্রের দাবি, এতে কৃষি চাঙ্গা হবে, লাভবান হবেন চাষিরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য়ের (এমএসপি) চলতি সিস্টেম বাতিল হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ফসল সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় আছি। ওদের সমর্থন করতে, ওদের আগামী প্রজন্মের জীবনযাত্রা উন্নত করতে যা যা সম্ভব, সব করব। নতুন অর্ডিন্যান্স কৃষকদের হাতের সামনে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এনে দেবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের কৃষিক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির খুব দরকার যা পরিশ্রমী কৃষকদের সহায়ক হবে। বিলগুলি পাশ হওয়ায় আমাদের চাষিরা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি সহজে পাবেন যা উত্পাদন বাড়াবে, আরও ভাল ফল দেবে। এই পদক্ষেপ স্বাগত। দশকের পর দশক ভারতীয় কৃষকরা নানা বাধা, প্রতিকূলতা, মিডলম্যানদের চোখরাঙানি সয়েছেন। এধরনের প্রতিকূলতা থেকে কৃষকদের মুক্ত করবে সংসদে পাশ হওয়া বিলগুলি। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রয়াস জোরদার করবে, তাদের আরও সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করবে এই বিলগুলি।