সুব্রত এবং অমিতাভ চক্রবর্তী, দু’জনই আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নব নিযুক্ত সাংগঠনিক সম্পাদককে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন সুব্রত। দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই, দিলীপ-সুব্রত জুটি দলে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি।ঝুলিতে জয়ী আসনের সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮।সেই সময়ও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সামলেছে দিলীপ-সুব্রত জুটি। বঙ্গ বিজেপির অনেকেই মনে করেছিলেন, ২১-এর বিধানসভা ভোটেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রদবদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল আগেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ এই সফল জুটিকে ভাঙতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উত্তরবঙ্গে সফরের পরই, নাটকীয় পরিবর্তন বঙ্গ বিজেপিতে।এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করতে ফের রাজ্যে আসছেন জে পি নাড্ডা। গত ১৯ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এবার তাঁর নজর দক্ষিণবঙ্গে।
৬ নভেম্বর বর্ধমানে বৈঠক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।৬ নভেম্বর বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বার্তাও দেবেন নাড্ডা।৭ নভেম্বর মেদিনীপুরে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন জে পি নাড্ডা।
রাজ্যে বিজেপির মোট পাঁচটি সাংগঠনিক জোন। সূত্রের খবর, নাড্ডার পাঁচটি জোনের সাংগঠনিক বৈঠকের পর, বঙ্গে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।