কলকাতা: করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে সোমবার থেকে রাজ্যে জারি হল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। বন্ধ হল সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সন্ধে ৭টার পর থেকে বন্ধ হল লোকাল ট্রেন (Local Train)। রাজ্যে রকেটের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ, কী বলছেন চিকিসকেরা?
চিকিৎসক কুণাল সরকার বলছেন, 'রাজ্য কিছু কিছু শতাংশের উল্লেখ করেছে। কোনটায় ৫০ শতাংশে কাজ হবে বা কোনটায় ৭০ শতাংশে কাজ হবে তার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তবে আমার মনে হয় এর মাধ্যমে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা যে আমরা বিশাল জমায়েত করব না। তবে আজ ৩টি বিষয়ে প্রশাসনের আরও কথা বলা উচিত ছিল। এক, আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়। প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে আরও বেশি পরীক্ষার জন্য কী কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুই, ওমিক্রনের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য আরও বেশি দেওয়া উচিত ছিল। তিন, যদি সমস্ত শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ছোটদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে কী করে? এই বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্য কোনও তথ্য দিল না।'
কুণাল সরকার আরও বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি একটা বিষয় নিয়ে হতাশ। বার বার লোকাল ট্রেনের ওপর এই কোপ আমার পছন্দ নয়। সরকারি, বেসরকারি চাকুরিজীবী থেকে শুরু করে বহু মানুষের ভরসা লোকাল ট্রেন। সবচেয়ে বড় কথা, লোকাল ট্রেনে মাথা গুণে গুণে ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলা অসম্ভব। তবে এর মধ্যে দিয়ে সম্ভবত একটাই বার্তা গেল যে , আমরা অনেকটাই বেসামাল হয়েছি, এবার সতর্ক হওয়ার সময়।'
আগামীকাল থেকে রাজ্যে বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আগামীকাল থেকেই বিধিনিষেধ। কাল থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কাল থেকে বন্ধ। গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ মাস পর খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল কলেজ। গত বছর অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী জানান নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোভিড বিধি মেনে শুরু হবে ক্লাস। এরপর ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট শেষ হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা চলতি সপ্তাহেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। সেই আশঙ্কা থেকেই এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।