কলকাতা : ভোট-পর্বে বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। আজ বিধানসভার সচিব এনিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। অধ্যক্ষের নির্দেশে এই বিজ্ঞপ্তি। গতকাল একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিধানসভায় শপথ নিতে আসেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অভিযোগ, শুভেন্দু বেরনোর সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সাংবাদিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আজ জারি হয়ে বিজ্ঞপ্তি।
প্রসঙ্গত, এবার বিধানসভা ভোটে বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকী গত ২৬ এপ্রিল বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। বলেছিলেন, তৃণমূলের বুথে এসে করোনা ছড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্যাম্প অফিসে ঢুকতে দেব না। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তখন বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূল নেতা তখন বাড়িতে ছিলেন না। সিআরপিএফের বিরুদ্ধে এফআইআর করব।
ভোটের দিন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এনিয়ে বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। একজন প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারেন বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোঝান তৃণমূল প্রার্থী। তার পরই তাঁকে বুথে ঢুকতে দেয়।
এছাড়া কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনা তো রয়েছেই। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির জোড়া পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে বাহিনীর গুলি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু, বন্ধ হয়ে যায় ভোট। শীতলকুচির এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। গ্রামবাসীর অভিযোগ ছিল, বিনা প্ররোচনাতেই গুলি চালানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।