সনৎ ঝা, দার্জিলিং: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ফোন করে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দার্জিলিং বিজেপির সহ সভাপতির। এমনটা চলতে থাকলে শিলিগুড়ির মন্ত্রীর বাড়িতে ধর্না দেব। নাম না করে গৌতম দেবকে হুঁশিয়ারি সায়ন্তন বসুর। মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি পর্যটন মন্ত্রীর।


সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলত্যাগী ২ বিধায়ক। ঘাস-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যাওয়া সুনীল সিংহ ও বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে নতুন করে জল্পনার মধ্যেই ফের বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী ২০১৮ সালে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।


দার্জিলিংয়ে বিজেপির সহ সভাপতি জয়দীপ নন্দী বলেন, আমাকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে মোবাইল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। বারবার ফোন করে উত্যক্ত করছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। আমি আর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে চাই না ।গত বুধবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিউ জলপাইগুড়ির স্থল বন্দর চত্বর। স্থল বন্দরের অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে।


ওই ঘটনার পর আইএনটিটিইউসির নিউ জলপাইগুড়ির সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়কে বহিষ্কার করে তৃণমূল। জয়দীপের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে তাঁকে দলে টেনে নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার দায়িত্ব দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। জয়দীপ নন্দীর বক্তব্য, এলাকায় তোলাবাজির নানা অভিযোগ রয়েছে ফেরার বহিষ্কৃত নেতা প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। এখন ওই নেতাকে বহিষ্কারের পর আমায় তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এদিন জয়দীপ নন্দীকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবকে হুঁশিয়ারি দেন সায়ন্তন বসু।


রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, শিলিগুড়ির এক মন্ত্রী বারবার ফোন করে আমাদের নেতাকে উত্যক্ত করছেন। তৃণমূলে যোগ দিতে বলছেন। অনুরোধে কাজ না হওয়ায় হুমকি দিচ্ছেন। এমনটা চলতে থাকলে আমরা ওই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্না দেব। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। গৌতম দেব, পর্যটনমন্ত্রী ও কোঅর্ডিনেটর, তৃণমূল কংগ্রেস, দার্জিলিং, সায়ন্তনের পাশে বসে কেন কথা বলছেন জয়দীপ? সৎ থাকলে বলুক কোন ফোন নম্বর থেকে ওকে ফোন করা হয়েছে? আমার এতো সময় নেই যে ওকে ফোন করব। আমার কাছে তো ওর ফোন নম্বরও নেই ।ভোটের মুখে তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়ককে দলে টেনেছে বিজেপি। এবার সেই গেরুয়া শিবিরই দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলল তৃণমূলের বিরুদ্ধের।