কলকাতা : আরও এক জনপ্রতিনিধির প্রাণ কাড়ল করোনা। রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটের দিন মৃত্যু হল মুরারইয়ের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহমানের। গত মার্চ মাসের শুরুতে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন তিনি। যার পর থেকে ভর্তি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে গেল তাঁর। আব্দুর রহমান করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই মুরারইয়ে প্রার্থী বদল করেছিল রাজ্যের শাসকদল।
গোটা ভারতের সঙ্গে কার্যত তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। যার কবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরাও। গত কয়েকদিনে মারণ ভাইরাসের দাপটে মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়েছিলেন সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী। এর আগে ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ, এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস ও ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনপর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও বেশ কিছু প্রার্থী। গোয়ালপোখরের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি আপাতত করোনা পজিটিভ হয়ে রয়েছেন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদারও। স্বস্তির খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনিও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
দেশজুড়ে ভয়ঙ্করভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। ফলে, করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। যদিও এরপরও সমাবেশে লাগাম টানা সম্ভব কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
শনিবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন। মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। একধাক্কায় ৪ হাজার ২৫৩ জন বেড়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪৫ হাজার ৩০০ জনে।