হাওড়া: কাউন্টিং এজেন্টদের টেস্ট ঘিরে বিতর্ক হাওড়ায়। নিজেদের করোনা পরীক্ষা নিজেরাই করছেন কাউন্টিং এজেন্টরা। জঙ্গিপুরের পর এবার হাওড়ায় কোভিড টেস্ট ঘিরে বিশৃঙ্খলা। সবাইকেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ। হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে চলছে করোনা পরীক্ষা। কাউন্টিং এজেন্টদের অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিএমওএইচ। 


রবিবার ২১-এর মহারণের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা। আর এই গণনা পর্বে কাউন্টিং এজেন্টদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে নির্বাচন। আর সেই নির্দেশ মেনে শুরু হয়েছে কাউন্টিং এজেন্টদের করোনা পরীক্ষা। কিন্তু এদিন হাওড়ায় দেখা গেল অন্য ছবি। নিজেদের নমুনা সংগ্রহ নিজেরাই করছেন কাউন্টিং এজেন্টরা। সেই পরীক্ষা করাতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে। 


 কিন্তু কাউন্টিং এজেন্টদের অভিযোগ, কোনও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। তাই নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে নিজেদেরই। র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টিং এজেন্টদের। শুধু বিশৃঙ্খলার ছবিই নয়। এজেন্টদের অভিযোগ প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এদিকে কাউন্টিং এজেন্টদের সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সিএমওএইচ। দিনকয়েক আগে এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল জঙ্গিপুরে। 


গত ২৪ এপ্রিল জঙ্গিপুর হাসপাতালে দেখা যায়, কোনও স্বাস্থ্যকর্মী নন, করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীকে নিজের নমুনা নিজেকেই সংগ্রহ করে দিতে হচ্ছে! মানা হচ্ছে না কোনও সিরিয়াল নম্বর। তাহলে কার রিপোর্ট কে পাবে, কী করে বোঝা যাবে? সন্দিহান রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। যদিও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের বক্তব্য, সহকর্মীরা অনেকেই করোনা আক্রান্ত। নতুনরাও আসতে ভয় পাচ্ছেন। গ্লাভসেরও আকাল। সেই কারণেই সমস্যা। উপায় না থাকায় রোগীকে কিট দিয়ে সোয়াব পরীক্ষা করতে বলা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় করোনার থাবা সবথেকে বেশি পড়েছে যে এলাকাগুলিতে তার মধ্যে অন্যতম জঙ্গিপুর। স্থানীয়রা করোনা পরীক্ষার জন্য অনেকেই ভরসা করেন জঙ্গিপুর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেই এই দৃশ্য। একজনমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী গোটা বিষয়টি দেখছিলেন। একসঙ্গে রাখা যাবতীয় স্যাম্পেল জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য যায় বহরমপুরে।