সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার বাগনানে ক্লাবের দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ। ক্লাবে ভাঙচুর। আহত ২ জন দলীয় সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। হামলার অভিযোগ অস্বীকার টিএমসিপির।


এখনও বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। ভোট নির্বিঘ্নে করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু তার আগে ফের হিংসার ঘটনা ঘটল হাওড়ার বাগনানে। শুক্রবার রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় ক্লাবে ব্যাপক ভাঙচুর চলে।


বিজেপির দাবি, ওই ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যই তাঁদের সমর্থক। সেই কারণেই ২০ থেকে ২৫ জন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য ক্লাবের বিজেপি সমর্থকদের উপর বাঁশ, রড ও হকি স্টিক নিয়ে হামলা চালায়।


পরে ৭ থেকে ৮ জনের বাড়িতে ঢুকেও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই হামলার জেরে ক্লাবের সদস্য ও গানের শিক্ষক সজল  রায়ের মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আঘাত পান আরেক ক্লাব সদস্য তন্ময় প্রামাণিক। দু’জনকেই উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তন্ময় প্রামাণিক জানান, ‘‘আমরা কেউ বিজেপির সক্রিয় কর্মী নই। বিজেপিকে সমর্থন করি। সেই কারণেই হামলা চালানো হয়েছে ৷’’


হাসপাতালে তাঁদের দেখতে যান বিজেপির হাওড়া গ্রামীণের জেলা সভাপতি। হাওড়া গ্রামাণের বিজেপি জেলা সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডল জানান, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করে বলে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। বাগনানের মানুষ আগামী দিনে জবাব দেবে ৷’’


বিজেপির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বাগনান কলেজের টিএমসিপি সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল জানান, ‘‘সরস্বতী পুজোর বিসর্জন দিয়ে কলেজের ছেলের ফিরছিল। তখন বিজেপির লোকেরা হামলা চালায় ৷’’


আসন্ন বিধানসভা ভোটে যাতে হিংসার ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক কমিশন। সেই আবহে বাগনানে অশান্তি ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে।