রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: ভোটের বাংলায় জনপ্রিয়তা তুঙ্গে টুম্পার। শুধু ভোটের আবহেই নয়, খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল এই গানের সঙ্গে সাথে এবারের দোলে ‘টুম্পা সোনা’ শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হযে উঠেছে।  "এ টুম্পা আয় আয় খেলবো হোলি’ লেখা গেঞ্জির ব্যপক চাহিদা দোলের বাজারে। 


‘এ টুম্পা ব্রিগেড চল’ শব্দকে বামেরা হাতিয়ার করে অভিনব প্রচারের ঝড় তুলেছিল। এবার সেই  টুম্পা রাজনৈতিক আঙিনা ছেড়ে  ঢুকে পড়ল দোল উৎসবে। সামনে দোল উৎসবের জন্য রাজ্য জুড়ে এবার দেদার বিকোচ্ছে টুম্পা সোনা লেখা গেঞ্জি। আর এই গেঞ্জি পরে হয়ত বাতাসে আবির উড়িয়ে  এবারের দোলে ছেলেমেয়েরা গেয়ে উঠবে "খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল। স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল। দ্বার খোল, দ্বার খোল"। সাদা ও হলুদ গেঞ্জী তে বিভিন্ন রং দিয়ে লেখা "এ টুম্পা আয় আয় খেলবো হোলি’ লেখা গেঞ্জির  চাহিদা বেড়েছে কলকাতাতেও।


কাটোয়া শহরের পানুহাটের ব্যবসায়ী রিপন দেবনাথ এর তৈরি করা এমন গেঞ্জি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বিকোচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই গেঞ্জির প্রচুর বরাত মিলছে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও এই ধরণের স্লোগান লেখা গেঞ্জির বরাত আসছে। জানা গিয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে শুধু কলকাতা শহর থেকেই প্রায় ৪০০টি গেঞ্জি এখনও পর্যন্ত বিক্রি  হয়েছে, অর্ডারও আসছে প্রচুর ।


ব্যবসায়ী রিপন দেবনাথ বলেন,  আমরা যখন যা স্লোগান ওঠে তখন তাই গেঞ্জির মধ্যে লিখি। তাতে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এই গরমে সকলেই  সুতির টি-শার্ট তৈরির বরাত দিচ্ছে। তবে সেখানে এবার "খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল" এর বদলে  টুম্পা সোনা লেখার বরাত বেশি আসছে। আর এই একেকটা গেঞ্জির দাম পড়ছে ২৭৫ টাকা । আর  এই গেঞ্জি পরেই  রবীন্দ্রসঙ্গীত আর টুম্পা সোনা গানে হয়তো এবার মেতে উঠবে বাঙালি  দোল উৎসব।