নয়াদিল্লি : আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানায় ঢুকতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। এমনই নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞতি জারি করে জানিয়েছে, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় স্তরের কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে যেতে পারবেন না। বিবৃতি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে বদলে দেওয়া হল নির্বাচনী প্রচারের নিয়মেও। পরের তথা পঞ্চম দফা ভোটের আগে ৪৮ ঘণ্টা নয়, ৭২ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে ভোটপ্রচার।
চতুর্থ দফার ভোটে খবরের শিরোনামে ছিল কোচবিহার জেলা। শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় মোট ৫ জনের। সকালের দিকে একজনের মৃত্যু হয়। পরে বেলার দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনেক মৃত্যু ও আরও চারজন আহত হওয়ায় সারাদিন রাজ্য থেকে দেশ রাজনীতি তোলপাড় হয়। আর সেই ঘটনা নিয়েই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শুধু ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাই নয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিষয়টা নিশ্চিত করার বার্তাও দিয়েছে কমিশন।
বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর খবর পেয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে রেখেছিলেন রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানানোর কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যে সফরসূচি সম্ভব নয়। আর তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাচদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শাস্তি দিতে বা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানাতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ বলেও তোপ দাগেন তিনি।
অপরদিকে, বিজেপির পক্ষ জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তৃণমূলের তো দেশের গণতন্ত্রের ওপরই কোনও আস্থা নেই। আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর তোপ, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যায় নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ।