সোমনাথ দাস, ঘাটাল(পশ্চিম মেদিনীপুর) : মুখ্যমন্ত্রীর ঘাটাল সফরের পরের দিন নবান্ন থেকে আকাশপথে ঘাটাল পরিদর্শন করলেন সেচ দফতরের সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র। জলপথেও বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। যদিও সবই লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


শিলাবতীর জল ভাসিয়েছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকাকে। এখনও জলের তলায় বহু বাড়ি, দোকানপাট। জলে ডুবেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ঘাটাল পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ড এখনও জলবন্দি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘাটাল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন দেব ও জুন মালিয়া।


গতকাল হেলিকপ্টারে পরিদর্শনের পর হেঁটে ঘাটালের প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোবাইল ফোনে বন্যা পরিস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করেন। ঘাটালে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। দুর্গতদের ত্রাণ বিলিও করেন। 


পরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। ম্যানমেড বন্যার কথা বলেন। অভিযোগ করেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করছে না কেন্দ্র। সেচমন্ত্রীকে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দিল্লি যেতে নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, অবিলম্বে এই প্ল্যান বাস্তবায়িত না করলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না।


পরে নিজের ফেসবুক পেজেও মমতা লেখেন, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন জরুরি। সংসদে বারবার সরব হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি। 


এরপর বুধবার আকাশপথে ঘাটালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেচ দফতরের সচিব। নৌকায় শিলাবতী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। পরে সেচ দফতরের সচিব বলেন, আমারা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর কী ক্ষতিরপূরণ দেওয়া যায় দেখা হবে। 


প্রতি বছর বর্ষা এলেই, ফিরে আসে দুর্ভোগের চেনা ছবি। একদিকে মানুষের দুর্গতি বাড়ে, অন্যদিকে, এ নিয়ে চলতে থাকে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, উন্নয়নের কোনও ইচ্ছে নেই। লোক দেখানো হচ্ছে।