হুগলি: বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার। ফের সিঙ্গুরে জনসংযোগ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। সিঙ্গুর বিধানসভার উগারদহ সিদ্ধেশ্বরীতলা থেকে হেলমেট ছাড়াই স্কুটি চালিয়ে বিজেপির বাইক মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন। মধ্যাহ্নভোজন সারলেন স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে।


সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকায় বাইক মিছিল করেন লকেটের। মিছিলের পর স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেন নেত্রী। বলেন, সিঙ্গুরের মানুষ মোদির সঙ্গে আছেন। আগামীদিনে সিঙ্গুর থেকে পদ্মফুল ফুটবে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছেড়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরপর এই পদত্যাগে তৃণমূলের অনুন্নয়নকেই দায়ী করেছেন লকেট। বলেছেন, তৃণমূল থেকে একের পর এক মুখ পদত্যাগ করছে। তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান। বিজেপি স্বাগত জানাবে।
যদিও লকেটের বক্তব্য গুরুত্ব দিতে নারাজ হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেছেন, ভোটের পাখি। ভোট এলেই এদের দেখা পাওয়া যায়। ভোট চলে গেলেই হাপিস হয়ে যাবে। সিঙ্গুরে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা মানুষের জন্য কাজ করছেন। আধঘণ্টার জন্য কারও আসায় কিছু আসে যায় না!

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সিঙ্গুরের এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন লকেট। তাঁকে নিজের বাড়িতে স্বাগত জানিয়ে সিঙ্গুরের পহলামপুরের বাসিন্দা জগন্নাথ বাঙাল বলেন,আমি আগে চাষবাস করতাম। আমফানে ঘরের দেওয়াল পড়ে যায়। সরকারি সাহায্য মেলেনি। কেউ খবরও নেয় না। কিন্তু লকেট চট্টোপাধ্যায় আমার বাড়িতে আসায় খুশি আমি।

(Locket Chatterjee)গত লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী, হুগলি লোকসভার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৫টি আসনে ও তৃণমূল এগিয়ে ছিল ২টি আসনে।
তার মধ্যে সিঙ্গুরে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের গড় দখলে রাখতে পারে কি না ঘাসফুল শিবির, তার জবাব দেবে ভবিষ্যৎ।