নয়াদিল্লি: ভারত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পিক অর্থাত সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এখনও অনেক দূরে বলে অভিমত জানালেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) –এর বিশেষজ্ঞ ডঃ নিবেদিতা গুপ্তা। মঙ্গলবার আইসিএমআর ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের গৃহীত পদক্ষেপগুলি কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে, মৃত্যুর হার কমানোয় খুব ভাল কাজে লেগেছে বলেও দাবি করেন তিনি। ভরসার সুরে ডঃ গুপ্তা বলেছেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বা ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ শব্দের পরিবর্তে আমাদের রোগটা কতটা ছড়াল, সেটা বোঝা দরকার। আমরা পিক অর্থাত চরম পরিস্থতি থেকে অনেক দূরে রয়েছি। রোগ দমনে আমাদের পদক্ষেপগুলি কার্যকর হয়েছে। মৃত্যু কমানোয় ভারতের ভূমিকা খুবই ভাল।


সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব অগ্রবাল দাবি করেন, ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২.৮২ শতাংশ। পৃথিবীতে সবচেয়ে কম মৃত্যুর হার যেসব দেশে, তাদের মধ্যে আছে ভারত। দেশে কোভিড-১৯ এ ৭৩ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে সেইসব রোগীর যাদের মধ্যে কো-মর্বিডিটি অর্থাত আনুষঙ্গিক নানা উপসর্গ ছিল। তিনি আরও জানান, ভারতের কোভিড-১৯ মৃত্যুর ৫০ শতাংশ হয়েছে দেশের জনসংখ্যার ১০ শতাংশের মধ্যে। সারা দেশে এপর্যন্ত ৯৫৫২৭ জন করোনাভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, রিকভারি রেট অর্থাত সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৪৮.০৭ শতাংশ। দেশে কোভিড-১৯ টেস্টিংয়ে আগের চেয়ে আরও গতি এসেছে বলে দাবি করেন ডঃ গুপ্তা। তিনি বলেন, টেস্টিং বেড়েছে। এখন আমরা প্রতিদিন ১ লক্ষ ২০ হাজার টেস্ট করছি।


রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ট্র্যাজেকটরি অর্থাত্ গতিবিধি বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে বলে জানান অগ্রবাল। বলেন, কোনও রাজ্য যদি মনে করে, অস্থায়ী ভিত্তিতে কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার তৈরি করা প্রয়োজন, তারা করতেই পারে।
মঙ্গলবারের হিসাব, ভারতে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৮৭০৬। এপর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৫৫৯৮ জন।