কলকাতা: ফিটনেস নিয়ে ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির আগ্রহের কথা কারুর অজানা নয়। তাঁর হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ফিটনেস বিপ্লবের আমদানি হয়েছে। আর এতে বেশ প্রভাবিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের নবনিযুক্ত একদিনের দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্বীকার করেছেন যে, এই বিষয়টি তাঁদের দলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

১৩ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে সমস্ত ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি রানের মালিক তামিম বলেছেন, ফিটনেসের এই গুরুত্ব বুঝতে বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় লেগেছে। একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ফিটনেস নিয়ে কঠোর বিধিনিয়ম মেনে চলে তিনি উপকৃত হয়েছেন।

একটি ভিডিও কাস্টে সঞ্জয় মঞ্জরেকরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তামিম বলেছেন, কোনও ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের সঙ্গে কথা বলছি বলেই কিন্তু কোহলিদের দেখে উদ্ধুদ্ধ হওয়ার কথা বলছি না। আমি মনে করি, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। ভারতে যা কিছু ঘটছে, সেদিকে আমরা নজর রাখি। ভারতে ফিটনেস নিয়ে মানসিকতার বদলের প্রভাব বাংলাদেশেও বেশ ভালো পরিমাণে পড়েছে।

তামিম বলেছেন, আমার বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, ২-৩ বছর আগে বিরাটকে জিমে কঠিন কঠিন সব কসরত ও দৌড়তে দেখতাম, তখন নিজে থেকে লজ্জিত বোধ করতাম। আমি ভাবতাম যে, সাফল্যের খিদে আমারই বয়সী এই ছেলেটার এতটাই বেশি যে ও এত কঠোর পরিশ্রম করছে, আর আমি এর অর্ধেকও হয়ত করি না। এই পর্যায়ে ওর সমকক্ষ হতে না পারলেও আমি তো অনন্ত ওর সমকক্ষ হতে পারি। হয়ত আমি ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছতে পারব।

চলতি মাসের গোড়াতেও কোহলিও ফিটনেস সংক্রান্ত শৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা তামিম জানিয়েছিলেন। তামিম বলেছিলেন, কোহলি এখন ফিটনেসের ক্ষেত্রে উঠতি ক্রিকেটারদের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছে।

কোহলির সঙ্গে ভিডিও সেশনে তামিম বলেছিলেন, আগে ক্রিকেটাররা ফিটনেস বজায় রাখা নিয়ে অন্য খেলার অ্যাথলিটদের কাছে অনুপ্রেরণা নিতেন। এখন ক্রিকেটেই এ ধরনের অনুকরণযোগ্য খেলোয়াড় রয়েছেন। এজন্য তিনি গর্বিত।