নয়াদিল্লি: বিজ্ঞান ভবনে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে ৪০ জনের যে কৃষক দলটি গিয়েছিল, তারা চা-জলযোগ বা খাবারের অফার প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সরকারি আতিথেয়তা নেবেন না, এটা ঠিক করেই এসেছিলেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তাঁদের এক নেতা জানান, নয়া কৃষি আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে এসে সরকারের অফার করা চা বা খাবারদাবার নিচ্ছেন না তাঁরা। নিজেরা সঙ্গে করে দুপুরের খাবার নিয়েই এসেছিলেন। সংবাদ সংস্থা সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাগজের প্লেট, খাবারভর্তি পাত্র বের করছেন তাঁরা।
আজ বিজ্ঞান ভবনে দিল্লি চলো কর্মসূচির মধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। আজ তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অষ্টম দিনে পড়ল। তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামা কৃষকরা আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা কয়েক মাসের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খাবার নিয়েই নয়াদিল্লি এসেছেন। অর্থাত্ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত ইতিমধ্যে দিয়েছেন তাঁরা।
গত মঙ্গলবার হওয়া প্রথম বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরয়নি কেননা কৃষকরা তাঁদের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রের কমিটি গঠনের প্রস্তাব বাতিল করেন। দিল্লি ও রাজধানীর সীমান্ত এলাকাগুলিতে কৃষক জমায়েতের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের এহেন উদ্যোগ মার খাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পঞ্জাবের সাংসদ ও রাজ্যের বাণিজ্য রাষ্ট্রমন্ত্রী সোম প্রকাশ ছাড়াও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর ও রেল তথা বাণিজ্য ও খাদ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে।
বিজ্ঞান ভবনের বৈঠকের আগে আজ শাহ কথা বলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের সঙ্গেও। বৈঠকের পর অমরিন্দর বলেন, কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই তাঁকে বলেছি, দ্রুত সমস্যা মেটান, কেননা আমার রাজ্যের অর্থনীতি, দেশের সুরক্ষার ওপর এর প্রভাব পড়ছে। কৃষকদের দাবি, সংসদের অধিবেশন ডেকে সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া আইনগুলি বাতিল করতে হবে, যদিও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। দালালরাজের অবসান ঘটাতে কৃষি আইনি সংস্কার করাই সরকারের লক্ষ্য বলে দাবি করা হচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের আশঙ্কা, এতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ব্যবস্থাটাই উঠে যাবে।