নয়াদিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে পার্টনারশিপে গেল। তা ছাড়া তারা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম নিজস্ব করোনা টিকা বানানোর জন্য ডিজিসিআইয়ের অনুমতি পেয়েছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে এখনও দেরি আছে, কারণ কতগুলি টিকা তৈরি করতে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তারপর তা পৌঁছে দিতে হবে গোটা বিশ্বে, আর প্রথম যে টিকাটি লাইসেন্স পাবে, সেটিই যে সব থেকে ভাল হবে এমন কিছু নয়। বিশ্ব জুড়ে করোনা টিকা তৈরির জন্য একাধিক পরীক্ষা চলছে, সেরা টিকা কোনটি জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করোনা টিকা তৈরির জন্য পার্টনারশিপে যাওয়া ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এ জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার খরচ করবে তারা। টিকা তৈরির লাইসেন্স পেয়ে গেলে আগামী ৩ মাসে লাখ লাখ করোনা টিকা তৈরি করবে সেরাম। পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের নিজেদের রয়েছে ভিপিএম১০০২ টিকা। তাদের ধারণা, টিবি নির্মূলে কার্যকর এই টিকা করোনা যুদ্ধেও গেমচেঞ্জার হতে পারে। ১,০০০-এর বেশি রোগীর ওপর এই টিকা পরীক্ষা হয়েছে, আগামী ২ মাসে জানা যাবে, তাঁদের করোনা সংক্রমণ কমাতে এই টিকা ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা। আদার জানিয়েছেন।

পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তারা ৫ বছর ধরে তৈরি করেছে নানা ছোঁয়াচে রোগ বিশেষত নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সক্ষম একটি টিকা। লাইসেন্স পাওয়ার আগে অসংখ্য আন্তর্জাতিক ট্রায়াল হয়েছে এটির। ডিজিসিআইয়ের অনুমতির পর মানব শরীরে এর তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষার ফল খতিয়ে দেখার পর এটি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।