নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election 2023)। আজই শেষ হচ্ছে প্রচার। তবে ভোটের আগেই ত্রিপুরা- জয় নিয়ে প্রত্যয়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এক সাক্ষাৎকারে (Interview) সোমবার বললেন, 'ত্রিপুরার ছবি পাল্টে দিয়েছি আমরা। ত্রিপুরায় আমরাই সরকার গড়ব (Goverment)।'


শাহি-দাবি...
কীসের জোরে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরা এমন দাবি শাহের? নেপথ্যে মূলত দুটি কারণ তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক হিংসার বাতাবরণ বদলে শান্তি ফেরানো, দুই কংগ্রেস আমলে দুর্নীতির অভিযোগ। শাহের কথায়, 'ত্রিপুরায় আমাদের আমলে হিংসার বাতাবরণ বদলে গিয়েছে।...উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্তির ছবি পাল্টে গিয়েছে।... ৮ হাজার জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের এই অংশের উন্নয়ন নিয়ে যে বদ্ধপরিকর, সে কথা বোঝাতে একটি পরিসংখ্যানও দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, গত ৮ বছরের মধ্যে মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫১ বার এসেছেন যা তাঁর পূর্বসুরিদের কেউ করেননি। মোদি সরকারের উন্নয়নের সুফল ত্রিপুরার জনজাতিভুক্ত মানুষেরাও পাচ্ছেন, দাবি শাহের। অন্য দিকে, বাম আমলে এই রাজ্যের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'কংগ্রেস আমলে ১২ লক্ষ কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাই তখন এই তথ্য দিয়েছিল।' সবটা মিলিয়ে তাঁর বিশ্বাস, এবারও উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিই ক্ষমতা দখল করবে। শুধু তাই নয়। তাঁর কথায়, 'ত্রিপুরায় বিজেপির আসন ও ভোট শতাংশ এবার বাড়বে।'  


নির্বাচনে ত্রিপুরা...
আজ প্রচারের শেষ। সকাল থেকেই তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এবার বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের আশিস সাহা। বিজেপির প্রচারে লোক নেই, কটাক্ষ তৃণমূলের। এবার বিধানসভা ভোটে আগরতলা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিন্হা দাঁড়িয়েছেন কৈলাসহর কেন্দ্রে। বনমালিপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী লড়ছেন দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম বিধানসভা আসনে। ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টির মধ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তিপ্রা মথা লড়ছে ৪২টি আসনে। পার্বত্য ত্রিপুরার ২০টি আসনে তাদের লড়াই মূলত তৃণমূলের সঙ্গে। সব মিলিয়ে শেষ বেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। দম ফেলার ফুরসত নেই কারও। যদিও শাহ নিশ্চিত, এবারও বিজেপিই সরকার গড়বে সেখানে। সত্যি কী হয়? জানতে আর কয়েকদিনের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন:গাড়ি থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা, মাঝরাতে হইচই বেহালা চৌরাস্তায়