নয়াদিল্লি: দেশের গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদ ভবনে ঘৃণ্য জঙ্গি হামলার কথা দেশবাসী কখনও ভুলবে না। সংসদ হামলার ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে এই মন্তব্য করেছেন। যাঁরা ওই হামলায় শহিদ হন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে তিনি বলেছেন, দেশ তাঁদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।


দেখুন প্রধানমন্ত্রীর টুইট


রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইট করে বলেছেন, ২০০১ সালে আজকের দিনে যাঁরা গণতন্ত্রের এই মন্দিরকে রক্ষা করতে আত্মবলি দেন, তাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় করেন।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও শহিদদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধানিবেদন করেছেন।


পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লিখেছেন, সংসদকে জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচাতে যাঁরা শহিদ হন দেশ তাঁদের আত্মদানের কথা স্মরণ করবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে।


শহিদদের স্মৃতিতে টুইট করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।


১৯ বছর আগে আজকের দিনে লস্কর ই তৈবা ও জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গিদের ৫ জনের একটি দল সংসদ ভবনে হামলা করে। সে সময় লোকসভার কাজকর্ম চলছিল। দুই কক্ষের কাজকর্ম স্থগিত থাকলেও বেশ কয়েকজন সাংসদ ও সংসদ কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন। দিল্লি পুলিশের ৫ কর্মী, সিআরপিএফের এক মহিলা কনস্টেবল ও পার্লামেন্ট ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড বিভাগের ২ নিরাপত্তা কর্মী জঙ্গিদের রুখতে গিয়ে হামলায় শহিদ হন। প্রাণ হারান এক মালী ও এক ক্যামেরাম্যানও। জবাবী গুলিতে ৫ জঙ্গিই খতম হয়। দিনকয়েকের মধ্যে হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে গ্রেফতার করা হয় আরও ৪ জনকে, এরা হল মহম্মদ আফজল গুরু, সওকত হুসেন, আফসান গুরু ও এসএআর গিলানি। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে মামলা, ২ জনকে মুক্তি দেয় আদালত, আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।