লন্ডন: দেওয়ালির শুভেচ্ছাবার্তায় কোভিড-১৯ কে হারানোর ডাক দিয়ে আশার বাণী শোনালেন বরিস জনসন। করোনা আবহে সপ্তাহান্তে প্রথম ভার্চুয়াল দেওয়ালি হচ্ছে জনসনের দেশে। দেশব্য়াপী ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রোধে চলতি সপ্তাহের শুরুতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষিত হয়েছে ইংল্যান্ডে, যা অন্তত ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামনে যে বিরাট চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এ নিয়ে যেমন কোনও সন্দেহ নেই, তেমনই আমার আমজনতার ওপর এই ভরসাও আছে যে, তারা শুভ চেতনা, দৃঢ়তা, সংকল্পের অধিকারী। দেওয়ালি যেমন আমাদের শিক্ষা দেয় যে, অন্ধকারকে হারিয়ে আলোরই জয় হয়, অশুভের বিনাশে শক্তিই জেতে, অজ্ঞতাকে হারিয়ে জয় হয় জ্ঞানেরই, তেমনই একজোট হয়ে আমরাও এই ভাইরাসকে হারাবই। রাক্ষস-রাজ রাবণের পরাজয়ের পর যেমন ভগবান রাম ও সীতা ঘরে ফেরেন, তাঁদের পথ লাখ লাখ প্রদীপের আলোয় ভরে উঠেছিল, তেমনই আমরাও এই সময়ের মধ্যেই এগিয়ে চলার পথ খুঁজে পাব, জয়ী হব।
লকডাউনের যাবতীয় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য়ে বিশেষত, চলতি বছর লোকের যেমন দেওয়ালি পালনে সমস্যা হবে, সেটা স্বীকার করে সংযম, আত্মত্যাগ ও নিরাপদ, সুরক্ষিত দেওয়ালি পালনের লক্ষ্যে প্রয়াসের জন্য় ব্রিটেনে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন জনসন। মানুষকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করার পাশাপাশি দেওয়ালির চেতনা ছড়াতে বাড়িতেই এবার চমত্কার কায়দায় ভার্চুয়াল দেওয়ালি পালনের কর্মসূচির প্রশংসা করেন তিনি। আইগ্লোবাল দিওয়ালি ফেস্ট, ২০২০-র উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, যখন আপনারা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে বা বন্ধুবান্ধুবদের বাড়ি গিয়ে বা তাদের সঙ্গে দেওয়ালির খুশি ভাগ করে নিতে চান, তখন দূরত্ববিধি বজায় রেখে সেলিব্রেট করা বা সামোসা, গুলাব জামুন খেয়ে মজা করাটা সহজ ব্যাপার নয়। আপনাদের আত্মত্য়াগ, মানুষের জীবন বাঁচাতে সঠিক কাজ করায় আপনাদের সংকল্পের কথা জানতে চাই। হিন্দু, শিখ, জৈনরা যে কীভাবে সহানুভূতি, গোষ্ঠী চেতনা ও আমরাও-পারি মনোভাব দেখিয়ে এই সঙ্কট সামলেছেন, সেটা দেখে আমি অভিভূত।
শুক্রবারই তিনদিনের ভার্চুয়াল দেওয়ালি উত্সবের সূচনা হয় জনসনের ভাষণ দিয়ে, তা শেষ হবে বিদেশসচিব প্রীতি পটেল, বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার ও লিবারেল ডেমোক্র্য়াট নেতা এড ডেভির বার্তা দিয়ে।