ট্রেন্ডিং

'নারী শক্তি', NDA-র ইতিহাসে নতুন মাইলফলক, গ্র্যাজুয়েট ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ; সঙ্গী ৩০০-র বেশি পুরুষ ক্যাডেটও

ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে টাকার পাহাড় ! আধিকারিকরা তল্লাশিতে যেতেই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নোটের বান্ডিল ছোড়া শুরু

হু হু করে গলছে বরফ! সাফ হতে পারে পাহাড়ের চুড়ো, সঙ্কটে কোন কোন দেশ?

'কাশ্মীরের বড় সমস্যা মিটেছে ৩৭০ ধারা বাতিল করে', ইন্দোনেশিয়ায় বললেন কং নেতা সলমন খুরশিদ

'নিয়োগে দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাধা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চনা',আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ কলকাতার বড়িশায়, অক্সফোর্ড মিশনে যাত্রা শুরু হল, বিশপ ক্যানিং মিউজিক অ্যাকাডেমির
দেশের ৭০ শতাংশ দরিদ্রতমের ৪ গুণেরও বেশি ১ শতাংশ ধনীতমদের সম্পদ, জানাল সমীক্ষা
যা দেখা যাচ্ছে, তা হল কোনও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বড় সংস্থার সিইও এক বছরে যা উপার্জন করেন তা রোজগার করতে গেলে সাধারণ এক মহিলা গৃহকর্মীর ২২,২৭৭ বছর লেগে যাবে।
Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: ভারতের ১ শতাংশ সবথেকে বিত্তশালী নাগরিকের সম্পদ দরিদ্রতম ১ কোটি ৩৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের মোট অর্থের ৪ গুণেরও বেশি। আর সব বিলিয়নেয়ারের যে সম্পত্তি তা একটা গোটা বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের থেকে বেশি। জানাল এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।
সমীক্ষাটি করেছে অক্সফ্যাম নামে এক সংস্থা, নাম দিয়েছে টাইম টু কেয়ার। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০তম বার্ষিক অধিবেশনের আগে বার হয়েছে এটি। তারা বলেছে, বিশ্বের ২,১৫৩ জন বিলিয়নেয়ারের মোট অর্থের পরিমাণ বিশ্বের ৪.৬ বিলিয়ন মানুষের থেকে বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের থেকে বেশি ওই বিলিয়নেয়ারদের আর্থিক সম্পদ।। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্থিক অসাম্য বিশ্বজুড়েই অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গিয়েছে, গত দশ বছরে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ঠিকই তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর কমে গিয়েছে তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহার বলেছেন, অসাম্য দূর করার জন্য স্পষ্ট পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে এই ব্যবধান থেকেই যাবে কিন্তু খুব অল্প সরকার রয়েছে, যারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।
অক্সফ্যাম রিপোর্ট বলছে, অর্থনীতির এই অসমতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র নারী ও শিশুদের পরিশ্রমের বিনিময়ে এই বিপুল সম্পদ করেছেন এক শ্রেণির অভিজাত সম্প্রদায়। ভারতে যেমন ৬৩ জন বিলিয়নেয়ারের সম্পদ ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে মোট যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তার থেকে বেশি। বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ২৪,৪২,২০০ কোটি টাকা। বেহার বলেছেন, সাধারণ নারী পুরুষের শ্রমের বিনিময়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতি কোটিপতি ও বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির পকেট বোঝাই করছে। যা দেখা যাচ্ছে, তা হল কোনও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বড় সংস্থার সিইও এক বছরে যা উপার্জন করেন তা রোজগার করতে গেলে সাধারণ এক মহিলা গৃহকর্মীর ২২,২৭৭ বছর লেগে যাবে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতীয় মহিলা ও অল্পবয়সী মেয়েরা প্রতিদিন ৪ কোটি ঘণ্টারও বেশি শ্রম দেন সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়- ভারতীয় অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান বছরে অন্তত ১৯ লাখ কোটি টাকা যা ২০১৯এ দেশের যে মোট শিক্ষা সংক্রান্ত বাজেট, তার ২০ গুণ।
Continues below advertisement
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে