স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা যাই বলুক, রাজ্য সরকার চাইলে আরও কড়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানান, করোনায় রাজ্যে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে । ১০৫ জনের মৃত্যু এখনও পর্যন্ত খতিয়ে দেখেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৩ জন। তাদের মতে, করোনা পজিটিভ ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্য কারণে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৩। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ২২। রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। সেই সঙ্গে আশার আলো দেখিয়ে তিনি বলেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৫ জন।

রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ১৬ হাজার ৫২৫ জনের পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে এখন ১৩টি ল্যাবে টেস্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৩ দিন ধরে রাজারহাটের ল্যাবে টেস্ট হচ্ছে না।
এখনও পর্যন্ত মহানগরেই অতিমারীর প্রকোপ সবথেকে বেশি। সংক্রমিতদের মধ্যে ৮০% কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া থেকেই। হুগলি থেকেও সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে বলে জানান মুখ্যসচিব।

তিনি বলেন, ‘৮টি জেলা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করোনামুক্ত। সরকারের পদক্ষেপ ধীরে ধীরে কার্যকর হচ্ছে। রাজ্যে এখন কনটেনমেন্ট জোন ৪৪৪টি। কলকাতায় ২৬৪টি কনটেনমেন্ট জোন। হাওড়ায় ৭২টি কনটেনমেন্ট জোন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৭০টি কনটেনমেন্ট জোন।’

গ্রিন জোনে কী কী ছাড় মিলবে, নিয়ে ২ মে নতুন বিধি প্রকাশ করবে সরকার। বর্তমানে সরকারি কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫ হাজার ২৮৮ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে ১০ হাজার ৭৭৩। বুধবার গতকাল হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৭২। এখন সরকারি কোয়ারেন্টিনে পর্যাপ্ত জায়গা আছে, বলে জানান মুখ্যসচিব।