কলকাতা: এবার বাংলায় নজর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। বাংলায় আগামী বিধানসভা ভোটে আদিবাসী অধ্যুষিত আসনে প্রার্থী দেবে তারা। গত রবিবার কলকাতায় সংগঠনের সভা হয়। জানা গিয়েছে সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ২৮ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামে সভা করতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সক্রিয়তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল ও বিজেপি।


বাংলার বিধানসভা ভোটে অন্যতম বড় ফ্যাক্টর আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক। সেই সমীকরণের কথা মাথায় রেখে, একুশে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ডের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের অন্তত ৪০টি আদিবাসী অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দল।

গত রবিবার কলকাতার বড়বাজারে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বৈঠকে ঠিক হয়, জঙ্গলমহলের ৪ জেলা - বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে প্রার্থী দেওয়া হবে। এছাড়াও উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান ও জলপাইগুড়িতেও একাধিক আসনে লড়বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জঙ্গলমহলের ৭৮টি ব্লক আছে সেখানে বহু আদিবাসী মানুষ আছেন। সেখানে অটোনমাস কাউন্সিল এখন শুধু মন্ত্রী করে রেখে দিয়েছে। সেটা সিলেকশন করে আর হবে না। সেখানে ইলেকশন করে ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে আনতে হবে। বৃহৎ ঝাড়খণ্ডের ইস্যুটিকে সামনে আনতে হবে।

গত লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে চমকপ্রদ ফল করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে জঙ্গলমহলের ৪ জেলার ৪০টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে এগিয়ে গেছে বিজেপি। বাকি ১০টিতে এগিয়ে তৃণমূল। জেএমএম সূত্রের খবর, ২৮ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামে জনসভাও করবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সুপ্রিয় ভট্টাচার্যর কথায়, আমাদের জন্য পদ্মফুল আর তৃণমূল দুটোই আমাদের কাছে সন্ত্রাস তৈরি করেছে, সিপিএমের সময়ে যা হয়েছে এখনও তাই হচ্ছে, বিজেপিকে রুখতে হবে, নবান্ন থেকে দাদাগিরিটা চলবে না।

তৃণমূল অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারে, জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করেছেন, তাতে মানুষ তৃণমূলের পাশে থাকবে। যদিও, এর পিছনে তৃণমূলেরই ইন্ধন দেখছে বিজেপি। গতবছরের শেষে ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে আটকে দিয়েছিল জেএমএম-কংগ্রেস জোট। এরাজ্যে জেএমএম লড়লে ভোটের সমীকরণে তার কতটা আঁচ পড়বে? সেই প্রশ্নই এখন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।