কলকাতা: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রের ভ্যকসিন বণ্টন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠির ছত্রে ছত্রে আছে আক্রমণের সুর।


চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে যথেষ্ট উদাসীনতা দেখিয়েছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সেই কারণেই  সময়মতো টিকা মেলেনি। বাংলার জন্য বারবার পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের টিকা বণ্টন নীতি নিয়ে আক্রমণের সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।



চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রতুল টিকার কথা জানিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই উত্তরও মেলেনি বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে আগামী  ১ মে থেকে দেশের ১৮ বছর ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার কথা গতকাল ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশপাশি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তাঁর প্রশ্ন এত টিকা কীভাবে মিলবে? খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন্দ্রের টিকা নিয়ে নীতিতে একাধিক অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ভ্যাকসিনের সংখ্যা, তার কার্যকারিতা, দাম, কীভাবে রাজ্যগুলি তা কিনবে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। 


উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই মাস থেকেই প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হয় দেশজুড়ে। স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের দেওয়া হয় টিকা।  কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা যায় পর্যাপ্ত টিকা মিলছে না। এই নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেরই অভিযোগ,  টিকার প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে বয়সের ক্ষেত্রে নমনীয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৮ বছর বয়সী বা তার বেশি বয়সীদের টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছে।