ভুবনেশ্বর: 'সৌজন্য সাক্ষাৎকার,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal CM Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Odisha CM Naveen Patnaik)। 'দেশের সুরক্ষা নিয়ে কথা হয়েছে', বিজেডি প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর দাবি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


কী বললেন দুই মুখ্যমন্ত্রী?
'ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুণ্ণ এবং শক্তিশালী থাকা উচিত', বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তবে সঙ্গে এও জানান, তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে এটি তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ। অন্য দিকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য, 'নবীন পট্টনায়েক আমাকে স্নেহ করেন। আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী থাকা উচিত।'আমি তাঁর এই বক্তব্য সর্বান্তকরণে সমর্থনে করি।' সেই সঙ্গে তৃণমূলনেত্রীর আরও আশা, 'বাংলা-ওড়িশার মধ্যে ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হতে পারে।' কিন্তু কী নিয়ে আলোচনা হল এদিন? 'আমরা দেশের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলেছি', যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বার্তা মমতার। 


আলোচনায় বৈঠক...
ওড়িশা-সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গিয়েছিলেন, নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, এর মধ্যে অন্য কোনও তাৎপর্যও থাকতে পারে। আগেই সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তাই প্রশ্ন, ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কি তাই রাজনৈতিক কোনও আলোচনাই হবে না? সূত্রের খবরও ছিল, স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। রাজনৈতিক আলোচনাও হতে পারে দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। এমনিতেই আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করার বার্তা দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। তার সলতে পাকানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। কালীঘাটে মমতা-অখিলেশ বৈঠকের পর সেই প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। যদিও সপা প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ও বিজেপি--দুই তরফের থেকেই সম দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চান তিনি। সম-দূরত্ব নীতির কথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও সরাসরি বলা হয়নি ঠিকই। তবে তাঁর এই সফর ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, দিনছয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছিলেন, 'দেশের গণতন্ত্র কীভাবে বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে আমরা একজোট হব। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও দলের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ক্ষতি হয়।' । ওই দিন কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেই উপলক্ষ্য়েই শহরে আসেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। 


আরও পড়ুন:আমার কাছে ধর্ম হল...আদালতে দোষী সাব্যস্ত রাহুল মহাত্মার শরণে