কলকাতা: রাজ্যে আরও কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।


আজ, রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী,  উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬ জনের। রাজ্যে একদিনে সুস্থতার হার ৯৭.৩৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ১২ জনের। পজিটিভিটি রেট ৩.৩৪ শতাংশ। একদিনে টিকাকরণ হয়েছে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮০১ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৪৯। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬১২ জনের।


গতকালের হিসেব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৯৪। মৃত্যু হয়েছিল ৩২ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ২২৯ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৬। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ৮ জনের। রাজ্যে একদিনে মোট সুস্থ হয়েছিলেন ১ হাজার ৯৯৪। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে, রাজ্যে এখন দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু নিম্নমুখী। তবে এই দেখে কেউ যেন গা ছাড়া মনোভাব না দেখান, সেই বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। ডেল্টা প্রজাতি নিয়েও সাবধান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি ভাঙলে পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গত মাসের ২৭ তারিখ, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৪৬। মারা গিয়েছিলেন ১৪৮ জন। তবে একমাস পর রবিবার, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই তলানিতে ঠেকেছে। চিকিৎসকদের দাবি, সাফল্যের কারণ রাজ্যে জারি থাকা কার্যত লকডাউন। বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে অনেকটাই সংক্রমণে লাগাম টানা গেছে। তবে এই পরিসংখ্যান দেখে উৎফুল্ল হয়ে, কোনওভাবেই যেন ঢিলেমি না দেওয়া হয়। তাহলেই আলগা হয়ে যাবে রাশ। একথা বলে এখন থেকেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।