কলকাতা: কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ কমছিলই। তবে মৃতের সংখ্যায় রাশ টানা যাচ্ছিল না। তবে এবার টানা ৮ দিন পর রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যু নামল দেড়শোর নীচে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৪৮ জন। পাশাপাশি একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩,০৪৬ জন। তবে মৃত্যু কমলেও সংখ্যাটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। 


গত ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমণের ধারা ছিল নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ১৩ হাজার ৪৬ জনের। যেখানে আগের দিন সংখ্যাটা ছিল ১৬ হাজারের উপর। মঙ্গলবার সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।


দৈনিক সংক্রমণ কমেছে উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও, তবে ফের বেড়েছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে সংক্রমণের পরিসংখ্যানটা। গত একদিনে উত্তর চব্বিশ পরগনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৫ জন। ২৪ এপ্রিলের পর প্রথমবার ৩ হাজারের নীচে নামল জেলার সংক্রমণ। তবে মৃত্যুর নিরিখে গোটা রাজ্যের ছবিটা কিছুটা আশা জাগালেও, এখনও শীর্ষে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনাই। 


বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৪৮ জন। যেখানে আগের কয়েক দিন ১৫০-র উপরেই ছিল সংখ্যাটা। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষ সহযোগিতা করছে, সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে, এটা স্বস্তির বিষয়।'


রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেও, ১৬ জুন পর্যন্ত কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে নবান্ন। আর সেই বাধা-নিষেধই ফের বাড়ালো রাজ্য। উল্লেখ্য, ১৫ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ কোথায় কোথায়? এদিন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবার দফতর ছাড়া বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস। জরুরি সামগ্রীর উৎপাদন ছাড়া বন্ধ থাকবে কল কারখানা। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, স্পা। 


করা যাবে না কোনওরকম জমায়েত। বিয়ে বাড়িতে ৫০ জনের বেশি আমন্ত্রণ করা যাবে না। সৎকারে থাকতে পারবেন না ২০ জনের বেশি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না।