দুর্গাপুর:  এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। দিল্লির পাশে দুর্গাপুর। ২ দিনের মাথায় ফের দুর্গাপুর থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিল অক্সিজেন এক্সপ্রেস। এ দিন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট থেকে ৬টি কন্টেনারে ১২০ টন লিক্যুইড অক্সিজেন সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে সগরভাঙা জোনাল সেন্টারে রেল মন্ত্রকের কন্টেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ইয়ার্ডে পৌঁছয় কন্টেনারগুলি। এরপর সেখান থেকে অক্সিজেন এক্সপ্রেস রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে।


দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সামাল দিতে এর আগে ১ মে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট থেকে ১২০ মেট্রিক টন লিক্যুইড অক্সিজেন দিল্লিতে পাঠানো হয়। শনিবার দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ১২০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন রওনা দেয় দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, সে দিন এক-একটি ট্যাঙ্কারে ২০ মেট্রিক টন করে ছটি ট্যাঙ্কা গিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২০ মেট্রিক টন লিক্যুইড অক্সিজেন পৌঁছয় রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন কনটেনার কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেডের অফিসে। সেখান থেকে ক্রেনে করে তা তোলা হয় রেলের ওয়াগানে। তত্বাবধানে ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ও রেলের পদস্থ আধিকারিকরা।


দেশজুড়ে হাহাকার। দিল্লির অবস্থা আরও খারাপ। মহামারী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে সকলকেই। অক্সিজেনের অভাবে ভুড়ি ভুড়ি মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি বাগে আনতে দিল্লিতে পরপর তিনবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। তাতেও চিন্তা কমছে না। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০,৩৫৪ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪০৭ জনের। 


অন্যদিকে মোকাবিলায় 'অক্সিজেন এক্সপ্রেস'এর আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  অক্সিজেনের জোগান দিতে সাহায্যের হাত বাড়ায় রেলও। তাদের তরফে "অক্সিজেন এক্সপ্রেস" ট্রেন চালু করা হবে বলে আজ জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।


সম্প্রতি টুইটারে রেলমন্ত্রী জানান, 'করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও খামিত রাখবে না রেল। রোগীদের কাছে প্রচুর পরিমাণে এবং দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে আমরা গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন চালাব।' এই ট্রেনগুলতে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন(এলএমও) এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহন করা হবে।


সরকারি বিবৃতিতে এও জানানো হয়ছ, রেলের মাধ্যমে লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন ট্যাঙ্কার সরবরাহ করা যায় কি না তা দেখার জন্য মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের তরফে রেলমন্ত্রকে আবেদন জানানো হয়েছিল। করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেন অন্যতম সামগ্রী।