শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে রাজ্যে গড়াতে শুরু করেছে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’র তিনটি রথ। নবদ্বীপ, তারাপীঠ এবং ঝাড়গ্রাম এই তিনটি জায়গা থেকে বিজেপির রথ-গাড়ির উদ্বোধন করেছেন জে পি নাড্ডা।
বুধবার কোচবিহারের রাসমেলার ময়দান থেকে বৃহস্পতিবার বিজেপির চতুর্থ রথটির উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। শুক্রবার কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চম রথটির উদ্বোধনের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যেই কোচবিহারে রথযাত্রার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছে। মেলার মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এসে গিয়েছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথগাড়িটিও। গোটা কোচবিহার শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডাদের পোস্টারে।
বিজেপি সূত্রে খবর, রাসমেলার ময়দান থেকে উদ্বোধনের পর পরিবর্তন যাত্রার রথ পুণ্ডিবাড়ি, মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি এবং তুফানগঞ্জ হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ারে প্রবেশ করবে। কোচবিহার জেলায় মোট ৯টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সাতটিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকি দুটিতে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে যে রথযাত্রা শুরু হচ্ছে তা জেলার নটি বিধানসভা কেন্দ্রকেই ছুঁয়ে যাবে। এদিকে বৃহস্পতিবার যে রাসমেলার ময়দান থেকে বিজেপির রথযাত্রার শুরু হবে, বুধবার ঠিক তার পাশেই জেনকিংস স্কুলের মোড়ে মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভামঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ দেখানোর আহ্বান জানান তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না।
তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার মতে, অশান্তি পাকাতে আসছে অমিত শাহ। জেলার কৃষকভাইদের বলব কাল কালো ব্যাজ পরবেন।এ নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপির তরজা চরমে উঠেছে। কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, বিনাশকালে বিরপীতবুদ্ধি। আমাদের সভাস্থলের পাশে শক্তি প্রদর্শনের সভা ডেকেছিলেন । উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, বিজেপির সর্বনাশযাত্রা। একমাত্র মদনমোহনই রথে উঠতে পারে। বিজেপির লোক নেই। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনেই ঘুরবে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার এই রথ।