গোপাল চট্টোপাধ্যায়,বীরভূম: জনসংযোগের লক্ষ্যে এবার বীরভূমে চায়ের আড্ডার আয়োজন করল তৃণমূল। অন্যদিকে এদিন বিজেপির তরফে জেলায় চায়ে পে চর্চার আয়োজন করেও তা বাতিল করা হয়। রাজ্য সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতেই চায়ের আড্ডা, দাবি তৃণমূলের। পাল্টা বিজেপির কটাক্ষ, আমাদের সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে তৃণমূল।


বিজেপির চায়ে পে চর্চার পাল্টা তৃণমূলের চায়ের আড্ডা! বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে বসবে কে? আমজনতার মধ্যে যখন এনিয়ে জল্পনা-কল্পনায় চায়ের কাপে তুফান উঠছে ৷ ঠিক তখনই একদিকে বীরভূমের সিউড়িতে চায়ের আড্ডার আয়োজন করে জনসংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী হল তৃণমূল।


অন্যদিকে, পূর্ব নির্ধারিত চা-চক্র বাতিল করল বীরভূমের স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির চা চক্রের কথা থাকলেও তারা তা করতে পারেনি। তৃণমূলের তরফে চায়ের আড্ডার আয়োজন করা হয় ৷ শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি শহরে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও সুভাষ সরকারের চায়ে পে চর্চা যোগদানের কথা থাকলেও হঠাৎ করেই তা বাতিল করা হয়।


এদিকে এদিনই সিউড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় চায়ের আড্ডা বসান বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী। হাতে মাটির ভাঁড়ে চা নিয়ে, স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি।


তৃণমূলের এই চা এর আসরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বীরভূমের বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম আমাদের সংস্কৃতি তৃণমূল আঁকড়ে ধরেছে। তাই আমরা আজ আমাদের চা চক্র বাতিল করে দিয়েছি।’’


চায়ে পে চর্চা করেও মানুষকে টানতে পারছে না বিজেপি, তাই লোক না হওয়ার ভয়ে কর্মসূচি বাতিল করেছে, পাল্টা বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা এবং বীরভূমের জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, ‘‘বিজেপির লোক হচ্ছে না বলে ওরা চায়ে পে চর্চা করতে পারছে না। আমাদের চায়ের আড্ডায় মানুষের ভিড় হচ্ছে।’’


 


গত বিধানসভা ভোটে বীরভূম জেলার ১১টি বিধানসভার মধ্যে ৯টিতে জেতে তৃণমূল ৷ দু’টি পায় বাম-কংগ্রেস জোট ৷ উনিশের লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে তৃণমূল ৬টিতে এগিয়ে থাকলেও, বিজেপি ৫টিতে লিড পায় ৷ এখন দেখার বিজেপি ‘চায়ে পে চর্চা’ নাকি তৃণমূলের ‘চায়ের আড্ডা’, মানুষের মন পড়তে কোনটা বেশি কার্যকরী হয়!