পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘খেলা একটাই হবে একুশের সাধারণ নির্বাচনে। একদিনে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি, একদিকে তৃণমূল। আমি গোলরক্ষক। আমি দেখতে চাই কটা গোল মারতে পারেন। একটাও মারতে পারবেন না।। বারপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে ৷’’
ক্যাপ্টেনই গোলরক্ষক। একুশের ডার্বিতে, গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন। হুগলির সভা থেকে ক্যাপ্টেনের ভোকাল টনিকের পরই, ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিলেন টিম মেম্বাররা।
দেওয়াল লিখনে কাণ্ডারি তৃণমূলনেত্রী। রং-তুলির টানে, কোথাও গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন তিনি ৷ কোথাও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উইনার্স ট্রফি। আর দেওয়াল লিখনে হট কেক সেই খেলা হবে ৷ বাঁকুড়ার বড়জোড়া বিধানসভায় ছান্দায় এভাবেই ভোটপ্রচারে শান দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বাঁকুড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অর্চিতা বিদ জানান, ‘‘খেলা হবে দিদিই গোল রক্ষক। এই ভাবেই দলের কর্মীদের উতসাহিত করতে এবং জনগণকে আকর্ষণ করতে এমন অভিনব দেওয়াল লিখন তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের দাবি দিদি গোলরক্ষক হয়ে এই বাংলাকে রক্ষা করবে।’’
দেওয়াল লিখন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাল জানান, ‘‘দিদি গোলকিপার হয়ে বিজেপি গোল আটকাতে পারবে না। তৃণমূলের দেওয়াল লিখন দেওয়ালে থাকবে আসল খেলা খেলবে মোদি। আর দেখবে দিদি।’’
গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি। বাঁকুড়া জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের সবকটিতে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। ম্যাচ এখনও শুরু হয়নি। ওয়ার্ম আপ জমিয়ে দিয়েছে খেলা হবে। জিতবে কে জানতে আর কয়েকমাসের অপেক্ষা।