আশাবুল হোসেন, মালদা: বিধানসভা ভোটে বাংলায় ফের পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন জে পি নাড্ডা। দিল্লি-গুজরাত থেকে বাংলাকে কিছুতেই কন্ট্রোল করতে দেব না। পাল্টা হুঙ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক প্রকল্প নিয়েও ফের তরজায় জড়ালেন মমতা ও নাড্ডা।


খড়গপুরের চা চক্র থেকে ফের একবার বাংলায় পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিলেন জে পি নাড্ডা । পাল্টা বিজেপির মোকাবিলায় সেই বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাড্ডার মুখে যখন ফের একবার উঠে এল ‘পিসি-ভাইপো’ কটাক্ষ> তখন ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টার অভিযোগ শানালেন তৃণমূল নেত্রী।


মালদার সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘এমন দিন ছিল, দিনে একটা বিড়ি তিন বার খেত। আর এখন লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা। কোথা থেকে এল এত টাকা? ভোটের সময় অনেক টাকা নিয়ে আসবে। আপনাদের দেবে। টাকা নিয়ে নেবেন। কিন্তু ভোট দেবেন না। কারণ ওটা জনগণের টাকা।’’


কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্প নিয়েও ফের তরজায় জড়ালেন মমতা-নাড্ডা।  বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, 'কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প আটকে দিচ্ছেন। মমতাদি এত রাগ কেন আপনার? সকলে এখন মা-মাটি-মানুষের সরকারকে ধিক্কার দেয়। এবার ক্ষমতা ছাড়তেই হবে তৃণমূলকে'।


মালদার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ পঞ্জাবের চাষিরা কাঁদছে। হরিয়ানার চাষিরা কাঁদছে। কিন্তু বাংলায় কাঁদছে না, কারণ, বাংলায় তৃণমূলের সরকার রয়েছে। বিজেপি নেই। বাংলায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটা প্রকল্প আছে, বলল আপনারা অনুসন্ধান করে পাঠান। আমরা পাঠালাম। কিন্তু আপনারা কিছুই দিলেন না। কেন দিলেন না? শুধু মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে।


কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান যোজনা চালু করেননি? এই প্রশ্ন তুলে যখন ফের সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তখন মমতার হাতিয়ার, সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প । নাড্ডার মতে,'আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা কি পান আপনারা? মোদীজির সরকার হলে সমস্ত সুবিধা পাবেন'।


মালদার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। আর যাঁরা পাননি, তাঁদেরও বিশেষ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। পরে কার্ড পেয়ে যাবেন। এই কার্ড মা-বোনেদের নামে দেওয়া হচ্ছে। কারণ মা-বোনেরাই জানেন, কার কী দরকার, তাঁরাই সংসার চালান। তাঁরা প্রয়োজনে নিজের মা-বাবার চিকিৎসাও করাতে পারবেন। প্রকল্পের পাল্টা প্রকল্পের লড়াই। মানুষের সমর্থন যাঁর দিকে যাবে, ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হবেন তিনিই ।