কলকাতা: সামনেই মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি ‘ম্যাজিক’। হাতে রয়েছে একাধিক কাজ। শত ব্যস্ততার মধ্যেই আজ তাঁর জন্মদিন। বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব, নাকি বিশেষ কেউ, আজকের দিনটা কার সঙ্গে, কেমন করে কাটাচ্ছেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার? এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মনের কথা বললেন নায়িকা।
জন্মদিনে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে? বার্থডে গার্ল বললেন, ‘কাছের মানুষদের সঙ্গেই বিশেষ দিনটা কাটাতে ভালোবাসি। আজ বাবা-মায়ের সঙ্গে লাঞ্চে যাব। আর বিকেলটা বন্ধুদের জন্য। খুব ছোট্ট পরিকল্পনা, কিন্তু আমার মন ভালো করে দেবে। আপাতত ছবির প্রচার নিয়ে ব্যস্ত আছি, তার মধ্যে একটা ছোট্ট ছুটির দিন আর কী!’
‘ম্যাজিক’-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? পায়েল বলছেন, ‘এটা একেবারে অন্যধারার একটা ছবি। গল্পটা এখনই বলতে পারব না, তবে বাংলা ছবিতে এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। জীবনের সঙ্গে মেলানো যায় গল্পটা। রাজাদা (রাজা চন্দ) একেবারে অন্য ধারার একটা ছবি করছেন শুনেই আমি রাজি হয়ে যাই।’ স্ক্রিপ্ট পছন্দ করার আগে কী কী বিষয় মাথায় থাকে? ‘প্রথমত গল্প। আমি সবসময় অভিনয়ের সুযোগ খুঁজি। নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছা করে সবসময়। তারপর দেখি কোন পরিচালকের কাজ। ফ্লোরে রাজাদা-অঙ্কুশ সবাই খুব মজা করত। ভালো লাগত কাজ করতে।’
কেবল ‘ম্যাজিক’ নয়, একাধিক ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন পায়েল। রূপোলি পর্দা আর ওয়েব দুনিয়ার মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক কোথায়? অভিনেত্রী বললেন, ‘অভিনয় করার ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য নেই। তবে ওয়েবে সেন্সরশিপ নেই। তাই অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালকেরা অনেক কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারেন। তবে রূপোলি পর্দার ম্যাজিকটাই আলাদা। আর সিনেমার প্রভাব মানুষের মনে অনেক বেশি পড়ে। ওয়েব কখনওই সিনেমার জায়গাটা নিতে পারে না।’
টলিউডে এখন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক। দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, কৌশানি মুখোপাধ্যায় এখন অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতির মঞ্চে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। রাজনীতির আঙিনায় পা দেওয়ার কথা কখনও ভেবেছেন? পায়েল বলছেন, ‘যদি কখনও রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিই অবশ্যই জানাব। রাজনীতি আর অভিনয় দুটো একেবারে আলাদা কাজ। আর আমার মনে হয়, যে যে কাজই করুক না কেন সেটাকে বিশ্বাস করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। দক্ষিণী অনেক তারকাই তো সফলভাবে রাজনীতি করেছেন আবার চুটিয়ে অভিনয়টাও করেছেন। রাজনীতি আর অভিনয়ের মধ্যে কোনওদিনই বিরোধিতা নেই। এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত সবারই।’
জন্মদিনে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন কিছু ভাবছেন? পায়েল বললেন, ‘আমি এখন হ্যাপিলি সিঙ্গল আর ওপেন টু এভ্রিথিং। আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে আমার সঙ্গে যদি কাউকে থাকতে হয়, সবার আগে আমার বন্ধু হতে হবে। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া আর সম্মান থাকাটা খুব জরুরি।’
নতুন কিছু রেজোলিউশান নিলেন? ‘আমার কাছের মানুষদের খুশি রাখা, আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এমন বিশাল কিছু বলতে চাই না যেটা আমি করতেই পারব না,’ হাসলেন পায়েল।
ছবি সৌজন্যে: সৌরভ মাইতি