ঝিলম করঞ্জাই ও সুমন ঘড়াই, কলকাতা: সরকারের স্বাস্থ্যসাথী উদ্যোগ। বিধানসভা ভোটের আগে এটাই এখন তৃণমূল সরকারের ট্রাম্প কার্ড।


রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পেতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেও ভিড় হচ্ছে ভালই। কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আবার এতদিন দাবি করা হচ্ছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে চিকিৎসার খরচ বাবদ সরকারের থেকে অনেক কম টাকা পাচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার ব্যয় বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার।


মঙ্গলবার নবান্নে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসকরাও। বেসরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসা খাতে, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ব্যায় বাড়ানো হল। এর জন্য বছরে অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।


রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্নের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যবাসীকে গুণগত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাস্থ্যসাথী স্বাগত জানাচ্ছে। এদিনের বৈঠকে, ১০৫টি প্যাকেজে ব্যায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। যদিও এই বৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম।


সঙ্কটজনক রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে ৩ হাজার ৩০০ টাকা পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসব। তাঁদের আশা, এই বিষয়টি ভেবে দেখবে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম আরও জানিয়েছেন যে, এতদিন মোট দেড় কোটি বেশি পরিবার এই কার্ডের আওতায় এসেছিলেন।


আরও ৬৭ লাখ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দুয়ারে সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২ কোটির অধিক পরিবার এই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত।  আরও ৮০ লাখ কার্ড আমরা খুব শীঘ্রই দেওয়ার টার্গেট নিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ১৫৩৭টি মোট হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় নিয়ে এসেছি যার মধ্যে ৪২৫টি নতুন হাসপাতাল। তাঁর আরও দাবি, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের পরিষেবা নিয়েছেন।