সুনীত হালদার, হাওড়া: নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড়ে বাইক র‍্যালি শুরুর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা, সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গো ব্যাক, খেলা হবে স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। পাল্টা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিলেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বাইক র‍্যালি হওয়ার কথা ছিল। র‍্যালি শুরুর আগেই নারনায় তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হন। সাউন্ড বক্সে খেলা হবে গান বাজানোর পাশাপাশি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। বাংলার সংস্কৃতিকে আক্রমণ, মন্তব্য ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের। 


এদিন সকাল থেকেই স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে মাইকে বাজছিল খেলা হবে স্লোগান। বাইক র‍্যালির জন্য ধীরে ধীরে বিজেপি কর্মীরা সেখানে জড়ো হতে শুরু করলেও তখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। 


সমস্যা তৈরি হয় খোদ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছনোর পর। হঠাৎই মাইকে বাজতে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী স্লোগান। ঘটনার সময় আশে পাশে তৃণমূল কর্মীদের দেখা না গেলেও মাইকে স্লোগান বাজানোর কথা মেনে নেন তৃণমূল পরিচালিত নারনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ডোমজুড়ের নারনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান বুবাই চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওনার ভাগ্য ভালো ওনাকে কেউ জুতো মারেনি। বেইমান, তঞ্চকতা করেছে, ভোটের আগে বলেছিল আমাকে ঋণ দিন মানে ভোট দিন, এটাকি ঋণ শোধ হল, উনি বেইমান, চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ওনাকে ফেরত পাঠিয়ে দেব ৷’’


স্লোগানের মাঝেই কিছুটা হেঁটে জিপে উঠে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, মানুষই বিচার করবে, তৃণমূলের থেকে এর বেশি কী আশা করা যায়?


এর আগে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ডোমজুড়ের অভয়নগরে বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির পদযাত্রায়তেও বিক্ষোভের মুকে পড়েন রাজীব।


পদযাত্রা শুরুর আগে এলাকা ছেয়ে যায় ‘বিশ্বাসঘাতক’ লেখা পোস্টারে! প্রাক্তন বনমন্ত্রীর ছবিতে পরানো হয় জুতোর মালা। এমনকি মিছিল শুরু হতেই রাজীবকে কালো পতাকা দেখানো হয়। সবমিলিয়ে এখন ২১-এর হাইভোল্টেজ ভোটে ডোমজুড় কেন্দ্রে কী ফলাফল হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।