পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে হেনস্থা...মারধর। চলতি মাসের শুরুতে এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই দৃশ্য ভাইরাল হয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় গ্রামের রাস্তা তৈরি নিয়ে জমি দখলের অভিযোগকে ঘিরে বিজেপি কর্মী এক শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। নাম জড়ায় তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার ও তাঁর অনুগামীদের। সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ নির্দেশ দেন, সম্পত্তি রক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে নিগৃহীতার। ব্যক্তি মালিকানার সম্পত্তি জোর করে দখল করা যায় না। জনকল্যাণমূলক কাজে জমি নিতে হলে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে তা নিতে হবে প্রশাসনকে। পাশাপাশি, ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে হবে নিগৃহীতার পরিবারকে। এরপরই শিক্ষিকার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল প্রশাসন।
দলীয় নেতার নাম জড়ালেও এদিন ঘটনার নিন্দা করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, নিগৃহীতা শিক্ষিকার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রতি শিফটে ২ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকছেন।