ইডেনে অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাটিং বিক্রম দেখার পর সমর্থকদের মুখে মুখে ফিরছে এই লাইনটাই। চন্দননগরের ক্রিকেটার শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের নবম সেঞ্চুরিটাই করলেন না, দলের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন। তাঁর ১৭৩ বলে ১৮টি চার ও একটি ছক্কা মেরে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস এল এমন একটা সময়ে, যখন ৬৭/৬ হয়ে যাওয়া বাংলার শিবিরে রঞ্জি সেমিফাইনালের প্রথম দিনই হারের আতঙ্ক চেপে বসেছিল। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৭৫/৯। করুণ নায়ার-কেএল রাহুল-মণীশ পাণ্ডেদের শক্তিশালী কর্নাটকের বিরুদ্ধে আপাতত পাল্টা লড়াইয়ের রাস্তা খুলে ফেলতে পেরেছে বাংলা।
শনিবার ইডেনে অনুষ্টুপ যখন ব্য়াট করতে নামেন, বাংলার স্কোর ৬২/৪। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মাঠে দর্শক টানার চেষ্টার কসুর করেনি সিএবি। সমস্ত গেট সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। বিনামূল্যে রাহুল-মনোজ তিওয়ারিদের খেলা দেখার সুযোগ। সপ্তাহান্তে মাঠে আসা দর্শকরা অবশ্য বাংলার ব্যাটসম্যানদের আত্মসমর্পণ ও উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসা দেখে তখন হতাশাগ্রস্ত। অনুষ্টুপ ক্রিজে যাওয়ার সামান্য পরেই স্কোর ৬৭/৬। কর্নাটকের বোলারদের আস্ফালনের ছবি ইডেন জুড়ে।
সেখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু অনুষ্টুপের। প্রথমে সঙ্গে পেলেন শাহবাজ আমেদকে। বাংলার হয়ে প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে অবদান রাখছেন শাহবাজ। শনিবার তিনি করলেন ৫০ বলে ৩৫ রান। সপ্তম উইকেটে অনুষ্টুপের সঙ্গে ৭২ রান যোগ করেন তিনি। শাহবাজ যখন ফিরলেন, বাংলার স্কোর ১৩৯/৭।
অনুষ্টুপের সঙ্গে এরপর পাল্টা লড়াই শুরু আকাশ দীপের। ডানহাতি পেসার ব্যাট হাতে একসময় কর্নাটক বোলারদের হতাশা বাড়াতে থাকেন। ৭২ বলে ৪৪ রান করে পেরেন আকাশ। অনুষ্টুপের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ১০৩ রান যোগ করেন তিনি। বাংলা ইনিংসকে অক্সিজেন জুগিয়ে।
প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৭৫/৯। ১২০ রানে অপরাজিত অনুষ্টুপ। বাংলা শিবির আপাতত তিনশো রানের আশায়।