কলকাতা: আগামী ১৩মে শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোট পরবর্তী হিংসা কোচবিহারের যে সমস্ত এলাকায় হয়েছে তা পরিদর্শন করে দেখবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধেয় ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, 'বিএসএফের কপ্টারে ১৩ মে শীতলকুচি যাব। শীতলকুচি সহ কোচবিহারের যে সমস্ত জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটেছে সেই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখব।'


রাজ্যপালের শীতলকুচি সফর নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কটাক্ষ, ওসব ওনার কাজ নয়। যদিও এতে ভুল কিছু দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার মতে, উনি যেতেই পারেন।


গত ১০ এপ্রিল, রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির জোর পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। যারপর থেকেই যা নিতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য রাজনীতি। আপাতত সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ১২৬ নম্বর বুথে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ান কর্তব্যরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ডেপুটি কম্যাড্যান্ট, একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার এবং চারজন কনস্টেবল ছিলেন।কী কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, তা জানতে ওই ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিআইডি।



পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে ইতিমধ্যেই নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ট্যুইটে বারবার রাজ্যের পুলিশকর্তা, অফিসারদের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। এমনিতেই ভোট পরবর্তী অশান্তির খবর পেয়ে, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। আর এবার শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে দুই অফিসার-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জনকে তলব করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। আজ ভবানীভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। সোমবার মাথাভাঙা থানার আইসি এবং সেক্টর ও কিউআরটি অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।


সূত্রের খবর, করোনা আবহে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়েছিলেন  সিআইএসএফের আইজি। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়ে ভবানীভবনে সশরীরে ৬ জনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনিতেই শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল। সেদিনের ঘটনাকে এদিন ফের গণহত্যা বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।