নয়াদিল্লি : নারদ মামলায় অব্যাহতি চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন তিনি। প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ হলফনামা নিতে অস্বীকার করায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু মামলা থেকে অব্যাহতি চাওয়ায় পিছিয়ে যায় শুনানি। আর ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতি অব্যাহতি চাওয়ায় ফের বিষয়টি যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। তিনি নতুন করে বিচারপতি বিনীত সরন আর দীনেশ মাহেশ্বরীকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করার পরই এদিনের শুনানির বিষয়টি পাকা হয়। 


গত ১০ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা নিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই বিষয়টিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের পৃথকভাবে দায়ের করা আর্জির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গেল শুনানি। ঠিক কী কারণে তিনি অব্যাহতি চেয়েছেন তা অবশ্য সামনে আসেনি। অনেক সময়ই বিচারপতিরা কোনও মামলার বিচার করা সঠিক না মনে করলে ও বিচারমাধ্যমের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ব্যক্তিগত মতাদর্শের ভিত্তিতে নিজেদের সরিয়ে নেন।


উল্লেখ্য, গত ১৭ মে নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় এই চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই দিন সিবিআইয়ের অফিস নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে পৌঁছে যান। অন্যদিকে, শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এজন্য এই মামলায় মলয় ঘটক ও মুখ্যমন্ত্রীকে পক্ষ করেছে আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা নিতে অস্বীকার করে।


পাশাপাশি নারদা মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। গত ৯ জুন সিবিআইয়ের আর্জির শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বলেছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকের হলফনামা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।