অলোক সাঁতরা, কেশপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর) - ফের তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর ! জরিমানা না দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা ঘুরে যাওয়ার পরেই ফের আক্রান্ত হন ওই বিজেপি কর্মী। ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। নিজের বাড়ি ফিরতেই রীতিমতো সালিশি সভায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হল বিজেপি কর্মীকে। 


কী কারণে এমন ঘটনা ? জানা যাচ্ছে, নির্ধারিত জরিমানা না দেওয়াই সাইদুল রহমান নামের বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে। ঘটনায় অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধে। সালিশি সভায় মারধরের কারণে মাথাও ফাটে বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমানের। এমনকী মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ও পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গ্রামছাড়া ছিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমান। ওইদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেশপুর থানার অন্তর্গত মনতা গ্রামে নিজের বাড়ি ফেরেন সাইদুল। এর পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাইদুলের উপর চড়াও হয় কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁকে আক্রমণের পাশাপাশি বেধড়ক মারধরও করে তারা। বিজেপি কর্মী সাইদুল রহমানের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এবং হাত পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।


 
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই কেশপুর থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। এর পরেই ফের নতুন করে বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কেশপুর এলাকায়। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।