পুরী: গত বছরের মতো এবারও ভক্তশূন্য থাকছে পুরীর রথযাত্রা। করোনা আবহে জারি থাকছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ।
আগামী ১২ জুলাই রথযাত্রা। গতবারের মতো এবারও পুরীতে রথ টানবেন শুধু সেবায়েত ও পূজারিরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই রথ টানতে পারবেন তাঁরা।
রথযাত্রায় অংশ নেবেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী। অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট ও ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। ৮ জুলাই থেকে পুরীর চারটি জায়গায় চলছে আরটি-পিসিআর টেস্ট।
পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক অজয় জেনা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে এবং ওড়িশা সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, গত বছরের মতো এবছরও ভক্তহীন থাকছে পুরীর রথযাত্রা। এবছর কোনও ভক্ত রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তিনি যোগ করেন, যে সকল সেবায়েতের ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে এবং যাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁরাই একমাত্র রথের রশি টানতে পারবেন।
রথযাত্রা উপলক্ষে থাকছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। প্রায় এক হাজার কর্মী নিরাপত্তার জন্য় মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যায় পুলিশও মোতায়েন থাকবে।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই সমুদ্র-শহর পুরী হয়ে ওঠে জনসমুদ্র। চিরাচরিত রীতি মেনে বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় তিনটি রথ- জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন৷
রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন জগন্নাথদেব৷ সঙ্গে থাকেন বলরাম, সুভদ্রা৷ রথের রশিতে টান দেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত।
কিন্তু করোনা আবহে, গত বছর সব ওলটপালট হয়ে যায়। প্রথমে পুরীর রথযাত্রা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেও পরে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সেই মতো কার্যত ফাঁকা রাস্তায়, ভক্তদের ঢল ছাড়া পুরীতে গড়ায় রথের চাকা। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরী শহর।
বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি কোনও সাধারণ মানুষকে। বছর ঘুরলেও ছবিটা বদলাল না। এবারও ফাঁকা রাস্তাতেই টান পড়বে রথের রশিতে।