সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: নিম্নচাপে সরে গিয়ে ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভবনা। সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম,  বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। বাকি জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলার সম্ভাবনা রয়েছে। 


কলকাতায় আজ সারাদিন আংশিক মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।আগামী শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে উড়িষ্যা উপকূলে আসবে। এর প্রভাবে আগামী রবিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন করে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।


ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য। কলকাতায় বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিকে, আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি থাকবে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৮৩ শতাংশ।


অন্যদিকে, কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে এলাকা তছনছ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত পূর্ব আম্বা গ্রামে। নিম্নচাপের কারণে কিছুদিন থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই গতকাল রাতে পূর্ব আম্বা গ্রামে হঠাৎ করেই ক্ষণিকের  ঘূর্ণিঝড় এলাকা তছনছ করেছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। গতকাল রাতে হঠাৎ করে কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড় হয়। ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৭০-৭৫ টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঝড়ে বেশ কিছু বাড়ির উপর গাছ পড়ে গিয়ে অ্যাসবেস্টার ও খড়ের  চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  বাড়ির দেওয়ালও ভেঙে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু মাটির বাড়ির খড়ের চালা উড়ে যায়। বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকাই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ের পর রাস্তা সাফাইয়ে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাই।