অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: তীব্র গরমের মধ্যেই হঠাৎ ঝড় আর তার ফলে কার্যত লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) দাঁতনের জেঠিয়া ও মারকন্ডপুর গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের একাংশ। যদিও এই ঝড়কে কালবৈশাখী ঝড়ই (Strom) বলা হচ্ছে। কিন্তু এলাকার বিধায়কের ভাষায় এটি প্রায় মিনি টর্নোডোর মতোই আঘাত করেছে এই গ্রামগুলিকে।
সূত্রের খবর, গতকাল রাত ৮টা- সাড়ে ৮টার সময় হঠাৎ ঝড় আসে। কালবৈশাখী হলেও এই ঝড়ের তীব্রতা ছিল বেশ। ঝড়ের ফলে ১৮টি বাড়ি ভেঙে পড়ে। টালির চালের বাড়ি ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন মহিলাসহ ২ জন। এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
কী বলছে প্রশাসন?
এলাকার বিধায়ক বিক্রম প্রধান এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, গতকাল রাত ৮টা- সাড়ে ৮টার সময় হঠাৎ ঝড় আসে। জেঠিয়া ও মারকন্ডপুর গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের একাংশের ওপর দিয়ে মিনি টর্নোডোর মতোই এই ঝড় বয়ে যায়। কয়েকটি গাছ ভেঙে বাড়ির ওপর পড়েছে। বলার মতো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আর আশঙ্কা ছিল অবশ্যই। টালির বাড়ির ওপর গাছ পড়ে মৃত্যুও হতে পারত। কিন্তু তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিধায়কের ভাষায়, 'পঞ্চায়েত থেকে গ্রামের মানুষের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসনের দল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই আক্রান্তরা সরকারি সাহায্য পাবে।'
গতকাল রাতে ঠিক কী হয়েছিল জেঠিয়া ও মারকন্ডপুর গ্রামে? এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত দশটা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় ও তারপরঅ আচমকাই ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এই ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ে ঘরের ওপরে। ঘরের উপর গাছ পড়ে যাওয়ায় কয়েক জন অল্পবিস্তর চোট পান। কারও ঘরের ছাউনি চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় ঝড়।
বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ-এর খুঁটির উপর গাছ পড়ে যাওয়ায় এলাকায বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আপাতত ভাঙা ঘর থেকেই প্রয়োজনীয় সামগ্রীটুকু বের করে নিতে ব্যস্ত বাসিন্দারা। জলে ভিজে গিয়েছে বাড়ির খুদে সদস্যদের বইখাতাও। ভাঙা ঘর থেকে সেসব সংগ্রহ করে রোদে দিচ্ছে একরত্তিরা। গ্রামবাসীর তরফ থেকেই প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে তারাও।