ঠিক কী ঘটেছিল?
গত বৃহস্পতিবার দুজন সাধু সমেত তিনজন একটি মারুতি ইকো গাড়িতে মুম্বই থেকে সুরাত যাচ্ছিলেন তাঁদের গুরুজির শেষকৃত্যে সামিল হতে। কিন্তু গুজরাত সীমান্তে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে বলা হয় ফিরে যেতে। কিন্তু তাঁরা সেকথা না শুনে পালঘরের কাছে একটি গ্রামের ভিতরের রাস্তা ধরে গন্তব্যের দিকে এগতে থাকেন। কিন্তু তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছতেই চোর সন্দেহে গাড়ি ঘিরে ধরে মারমুখী জনতা। শুরু হয় গাড়ির ওপর হামলা। জনতার মধ্যে ছিল গ্রামবাসীরাও। পাথর ছুঁড়ে মারতে মারতে গাড়িটা উল্টে দেয় তারা। তখনই বন দপ্তরের এক কর্তা ঘটনাটি দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তাদের গাড়িতে তুলে ওই তিনজনকে নিরাপদে সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মারমুখী জনতা তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তারা পুলিশের গাড়িকেও হামলার টার্গেট করে। পুলিশ পিছু হটে। পুলিশকে কাবু করে ফেলে উন্মত্ত জনতা। তিনজনকে ওখানেই লাঠি, রড, পাথরের ঘায়ে মেরে ফেলে তারা। পুলিশ অবশ্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে। সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় চিকনে মহারাজ কালপভরুখসাগিরি (৭০), সুশীলগিরি মহারাজ (৩৫) ও তাদের গাড়িচালক নিলেশ তেলগাড়েকে (৩০)।
পালঘর পুলিশ ৯জন নাবালক সমেত ১১০জনকে গণপিটুনিতে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। ১০১ জনকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ৯ নাবালককে রাখা হয়েছে জুভেনাইল হোমে।
নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।