কলকাতা: পুলিশ যদি এফআইআর করতে না চায়, তবে কী করবেন? এ ব্যাপারে কী কী অধিকার আছে আপনার? এফআইআরের বিশেষত্বই বা কী? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।


আইনগত বিষয়গুলি ভাল করে জানলে নিজের অধিকার সহজে প্রয়োগ করা যায়। অতএব জেনে নিন, কাকে বলে এফআইআর। থানায় লিখিত রূপে কোনও অপরাধের ব্যাপারে তথ্য দায়ের করাকে এফআইআর বলে। যদি কোনও অপরাধের ব্যাপারে ফোনে তথ্য দেন, তো পরে আপনার থানায় এসে অভিযোগ লিখিতভাবে করা উচিত, তবে সেটা এফআইআর হবে। যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অনুপস্থিত থাকেন, তবে সব থেকে সিনিয়র অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা যায়। যদি কোনও অফিসার এফআইআর নিতে আপত্তি করেন, তবে অভিযোগ করুন তাঁর কর্তৃপক্ষের কাছে।

থানায় রিপোর্ট লেখাতে গেলে আপনার সঙ্গে ঘটা অপরাধের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়। তখন অপরাধের সময়, জায়গা আর পরিস্থিতি- এ সবের পুরো ব্যাখ্যা করবেন। আপনার দেওয়া তথ্য থানার ডেলি ডায়রিতে উঠবে। একে বলে রোজনামচা। তবে এ কিন্তু এফআইআর নয়, এই ভুল করবেন না। রোজনামচায় ওঠা মানেই কিন্তু এই নয় যে আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাই অপরাধের রিপোর্ট করাতে গেলে অবশ্যই এফআইআর করাবেন। প্রমাণ হিসেবে চেয়ে নেবেন এফআইআরের একটি কপি। এই কপি নেওয়া আপনার আইনি অধিকার। এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ যদি পদক্ষেপ করতে দেরি করে বা অবহেলা করে, তবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন। এফআইআর দায়েরের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যায় না। তবে এফআইআর করতে দেরি করবেন না।

এফআইআরে জানাবেন, অপরাধে কে কে দোষী। কার বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটেছে। অপরাধের সময় কটা বেজেছিল। ঠিক কোথায় ঘটেছে ওই ঘটনা। কী ধরনের অপরাধ, এতে ক্ষতি কেমন হয়েছে। এই সমস্ত তথ্য অবশ্যই এফআইআরে উল্লেখ করবেন।