নয়াদিল্লি: যে সংস্থাগুলি করোনা টিকা তৈরির কাজে নেমেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত কিছু তথ্য খসড়ার চেহারায় বার হতে চলেছে। এখনও কোনও করোনা টিকাতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিলমোহর পড়েনি তবে বেশ কয়েকটির চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে ফিজার ইনকর্পোরেটেড, জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, নোভাভ্যাক্স ও মডার্নার টিকা।


ফিজার ও তাদের সহযোগী বায়োএনটেক সম্ভবত এ মাসের শেষেই তাদের সর্বশেষ ক্লিনিক্যাল ডেটা প্রকাশ করবে। গত মাসের শুরুতে ফিজার জানায়, তারা ৪৪,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর তাদের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে রেগুলেটরের সম্মতি চায়। এরপর চলে আসতে পারে মডার্নার টিকা সংক্রান্ত তথ্য। জনসন অ্যান্ড জনসন ও নোভাভ্যাক্স অল্পদিন আগে তাদের শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে, আগামী কয়েক মাসে সে ব্যাপারেও তথ্য সামনে আসতে পারে।

এর মধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি তৈরির পিছনে থাকা এক শীর্ষস্থানীয় রুশ বৈজ্ঞানিক বলেছেন, মস্কোও তাদের টিকা স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর প্রয়োগের পর প্রথম ৪২ দিনের রেজাল্ট অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে প্রকাশের কথা ভাবছে। যদি তারা তাদের চূড়ান্ত ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করে, তবে তারাই হতে পারে প্রথম টিকা, যারা ফাইনাল ট্রায়ালের ডেটা জনসমক্ষে আনল। গত মাসের ৯ তারিখ তারা তাদের নির্বাচিত ৫,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্রথমজনকে করোনা টিকা দেয়। অর্থাৎ সময়ের ব্যবধানের হিসেব করলে ২১ অক্টোবরের পর তারা অন্তর্বর্তীকালীন ফল বার করতে পারে।

এছাড়া বেশ কিছু পশ্চিমী সংস্থা তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে। ৪২ দিন বা তার বেশি ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে কিন্তু এখনও খসড়া ডেটা প্রকাশ করেনি। তবে প্রাথমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য বেরিয়েছে দ্য ল্যান্সেট জার্নালে। রাশিয়া তো চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই অগাস্টে তাদের স্পুটনিক ভি টিকার অনুমোদন দিয়েছে।